পাতা:শান্তিনিকেতন (প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাভিনিকেতন স্থতরাং সেই সীমাতেই গিয়ে আমার পরিচয় ঠেকে যায়—সেই থানেই দরজা রুদ্ধ—তার ভিতরে আর প্রবেশ করতে পারিনে—তাকেও আত্মা বলে আমার আত্মা প্রত্যক্ষ ভাবে সম্ভাষণ করতে পারে না। যদি পারত তবে পরস্পর হাত ধরে বলত তুমি এসেচ ! আধ্যাত্মিক সাধনার যে চরম লক্ষ্য কি তা উপনিষদে স্পষ্ট লেখা আছে—“তে সৰ্ব্বগং সৰ্ব্বতঃ প্রাপ্য ধীরা যুক্তাত্মানং সৰ্ব্বমেবাবিশন্তি”—ীর ব্যক্তিরা সৰ্ব্বব্যাপীকে সকল দিক থেকে পেয়ে যুক্তাত্মা হয়ে সৰ্ব্বত্রই প্রবেশ করেন। এই যে সৰ্ব্বত্র প্রবেশ করবার ক্ষমতাই শেষ ক্ষমতা । প্রবেশ করার মানেই হচ্ছে যুক্তাত্মা হওয়া । যখন সমস্ত পাপের সমস্ত অভ্যাসের সংস্কারের আবরণ থেকে মুক্ত হয়ে আমাদের আত্মা সৰ্ব্বত্রই আত্মার সঙ্গে যুক্ত হয় তখনি সে সৰ্ব্বত্র প্রবেশ করে—সেই আত্মার গিয়ে পৌছলে সে দ্বারে এসে