পাতা:শান্তিনিকেতন (প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধনই যে তাকে বঁধে—এই বন্ধটাকে যে যতই বড় করে তুলেছে সে যে ততই বিপদে পড়েছে । এই সমস্ত বন্ধন প্রত্যহ শিথিল হয়ে আসচে প্রত্যহ ত্যাগ আমাদের পক্ষে সহজ হয়ে আসচে আমাদের উপাসনা থেকে এই ফলটি যেন লাভ করি । নানা আসক্তির নিবিড় আকর্ষণে আমাদের প্রকৃতি একেবারে পাথরের মত অঁাট হয়ে আছে। উপাসনার সময় অমৃতের ঝরণা ঝরতে থাকৃ—আমাদের অণুপরমাণুর ছিদ্রের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করতে থাকৃ—এই পাষাণটাকে দিনে দিনে বিশ্লিষ্ট ক্রমে এটা ক্ষইয়ে দিয়ে সরিয়ে দিয়ে জীবনের মাঝখানে একটি বৃহৎ অবকাশ রচনা করে সেই অবকাশটিকে পূর্ণ করে দিক। দেখ, একবার ভিতরের দিকে চেয়ে দেখ—অস্তরের সঙ্কোচনগুলি তার নামের অtঘাতে প্রতিদিন