পাতা:শান্তিনিকেতন (ষষ্ঠ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন রঙের পার্থক্য সে আর কিছুতেই সম্বরণ করতে পারে না—চারিদিকের নিবিড় শু্যামলতার আচ্ছাদন থেকে সে বাহিরের আকাশে প্রকাশ পেয়ে উঠতে থাকে । তার পরে তার বাহিরটি ক্রমশই কোমল হয়ে আসে । আগে বড় শক্ত আঁটি ছিল— কিন্তু এখন আর সে কঠোরতা নেই । দীপ্তিময় সুগন্ধময় কোমলতা । পূৰ্ব্বে তার যে রস ছিল সে রসে তীব্র অম্লতা ছিল এখন সমস্ত মধুৰ্য্যে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। অর্থাৎ এখন তার বাইরের পদার্থ সমস্ত বাইরেরই হয়—সকলেরই ভোগের হয়—সকলকে আহবান করে কাউকে ঠেকাতে চায় না । সকলের কাছে সে কোমল সুন্দর হয়ে ওঠে । গভীরতর সার্থকতার অভাবেই মানুষের তীব্রত কঠিনতা এমন উগ্রভাবে প্রকাশ পায়—সেই আনন্দের দৈন্তেই তার দৈন্ত, সেই জন্তেই সে বাহিরকে আঘাত করতে উদ্যত হয় । సె 8