পাতা:শান্তিনিকেতন (ষষ্ঠ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফল তার পরে তার ভিতরকার যেটি আসল জিনিষ, তার অঁাটি—যেটিকে বাইরে দেখাই যায় না, তার সঙ্গে তার বাহিরের অংশের একটা বিশ্লিষ্টত ঘটুতে থাকে—সেটা যে তার নিত্যপদার্থ নয় তা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে আসে। তার শস্ত অংশের সঙ্গে তার ছালটা পৃথক্ হতে থাকে—ছাল অনায়াসে শাস থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া যায়—আবার তার শাসও আঁটি থেকে সম্পূর্ণ ছাড়িয়ে ফেলা সহজ হয় । তার বেঁটা এতদিন গাছকে অঁাকড়ে ছিল তাও অtলগা হয়ে আসে। গাছের সঙ্গে নিজেকে সে আর অত্যন্ত এক করে রাখে না—নিজের বাহিরের আচ্ছাদনের সঙ্গেও নিজের ভিতরের অঁাটিকে সে নিতান্ত একাকার করে থাকে না । সাধক তেমনি যখন নিজের ভিতরে নিজের অমরত্বকে লাভ করতে থাকেন—সেখানটি যখন সুদৃঢ় সুসম্পূর্ণ হয়ে ওঠে তখন তার বাইরের পদার্থটি ক্রমশই শিথিল হয়ে আসতে ଟ