পাতা:শান্তিনিকেতন (ষষ্ঠ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাসনা, ইচ্ছা, अछठ, চায়—তাহলেই বাহিরের কর্তৃত্ব বড় হয়ে ভিতরের কর্তৃত্বকে খাটো করে দেয় এবং উদ্দেশু। নষ্ট হয়ে যায়। তখন মামুষের স্মৃষ্টিকাৰ্য্য চলে না। বাসনা যখন তার ভিতরের কুল পরিত্যাগ করে তখন সে সমস্ত ছারখার করে দেয় । যেখানে ইচ্ছা শক্তি বলিষ্ঠ-কর্তৃত্ব যেখানে অস্তরে সুপ্রতিষ্ঠিত, সেখানে তামসিকতার আকর্ষণ এড়িয়ে মানুষ রাজসিকতার উৎকর্ষ লাভ করে । সেইখানে বিদ্যায় ঐশ্বর্য্যে প্রতাপে মানুষ ক্রমশই বিস্তার প্রাপ্ত হয় । কিন্তু বাসনার বিষয় যেমন বহির্জগতে বিচিত্ৰ—তেমনি ইচ্ছার বিষয়ও ত অন্তর্জগতে একটি আধটি নয়। কত অভিপ্রায় মনে জাগে তার ঠিক নেই । বিদ্যার অভিপ্রায়, ধনের অভিপ্রায়, খ্যাতির অভিপ্রায় প্রভৃতি সকলেই স্ব স্ব প্রধান হয়ে উঠতে চায় । সেই, ইচ্ছার অরাজক বিক্ষিপ্ততাও বাসনার বিক্ষিপ্ততার চেয়ে ত কম নয় । $o