পাতা:শান্তিনিকেতন (ষষ্ঠ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরশরতন কালে তুচ্ছতার আক্রমণকে আমরা যেন প্রশ্রয় না দিই— আত্মার মহিমাকে তখনো যেন প্রত্যক্ষগোচর করে রাখি । যেন তখনি মনে পড়ে আমরা দাড়িয়ে আছি “ভূভূ বস্বলোকে,” মনে পড়ে যে, অনন্ত চৈতন্যস্বরূপ এই মুহুর্তে আমাদের অন্তরে চৈতন্ত বিকীর্ণ করচেন, মনে পড়ে যে, সেই শুদ্ধং অপাপবিদ্ধং এই মুহুর্তে আমাদের হৃদয়ের মধ্যে অধিষ্ঠিত হয়ে আছেন । সমস্ত হাস্তালাপ, সমস্ত কাজকৰ্ম্ম, সমস্ত চাঞ্চল্যের অন্তরতম মুলে যেন একটি অবিচলিত পরিপূর্ণতার উপলব্ধি কখনো না সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন হয়ে যায় । তাই বলে একথা যেন কেউ মা মনে করেন যে, সংসারের সমস্ত হাসিগল্প সমস্ত ষ্ঠামোদ-আহলাদকে একেবারে বিসর্জন দেওয়াই সাধন । যার সঙ্গে আমাদের যেটুকু স্বাভাবিক সম্বন্ধ আছে তাকে রক্ষণ না করলেই সে আমাদের অস্বাভাবিক রকম করে” পেয়ে ఆ9