পাতা:শান্তিনিকেতন (ষষ্ঠ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈরাগ্য উপলক্ষ্যই লক্ষ্য হয়ে আমাদের পথরোধ করতে পারে না । যখন আমরা সাহিত্যের বৃহৎ তাৎপৰ্য্য বুঝে আনন্দ বোধ করতে থাকি--তখন প্রত্যেক কথাটি স্বতন্ত্র ভাবে আমি আমি করে জামাদের মনকে আর বাধা দেয় ন— প্রত্যেক কথা অর্থকেই প্রকাশ করে নিজেকে নয়— তখন কথা আপনার স্বাতন্ত্র্য যেন বিলুপ্ত কন্নে cधä । তেমনি যখন আমরা সত্যকে জানি তখন সেই অখণ্ড সত্যের মধ্যেই সমস্ত খণ্ডতাকে জানি—তারা স্বতন্ত্র হয়ে উঠে আর আমার জ্ঞানকে আটক করে না ! এই অবস্থাই বৈরাগ্যের অবস্থা । এই অবস্থায় সংসার আপনাকেই চরম বলে, আমাদের সমস্ত মনকে কৰ্ম্মকে গ্রাস করতে থাকে না । কোনো কাব্যের তাৎপর্য্যের উপলব্ধি যখন আমাদের কাছে গভীর হয় উজ্জল হয় তখনই

  • \g