পাতা:শান্তিনিকেতন (ষষ্ঠ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিনতলা ভক্তির দ্বারা বাহিরকে নানারকম করে নেড়েচেড়ে তাকে নানা রকমে আঘাত করে এবং তার দ্বারা আঘাত খেয়ে আমরা বাহিরের পরিচয়ের সীমায় এসে ঠেকি । তখন বাহিরকেই আর পূর্বের মত একমাত্র বলে মনে হয় না—তখন তাকেই আমাদের একমাত্র গতি, এক মাত্র আশ্রয়, একমাত্র সম্পদ বলে আর জানিনে। সে আমাদের সম্পূর্ণ আশাকে জাগিয়ে তুলে একদিন আমাদের সমস্ত মনকে টেনে নিয়েছিল বলেই যখন আমরা তার সীমা দেখতে পেলুম তখন তার উপরে আমাদের একাস্ত অশ্রদ্ধা জন্মাল—তখন প্রকৃতিকে মায়াবিনী বলে গাল দিতে লাগলুম, সংসারকে একেবারে সর্বতোভাবে অস্বীকার করবার জন্তে মনে বিদ্রোহ জন্মাল । তখন বলতে লাগলুম, যার মধ্যে কেবলি আধিব্যাধি মৃত্যু, কেবলই ঘানির বলদের চলার মত অনন্ত প্রদক্ষিণ তাকেই wo