পাতা:শান্তিনিকেতন (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন মাঝখানে বিশ্বের যিনি পরমসত্য তাকে ধ্যান করবার চেষ্টা করে থাকি। ঘটনাপুঞ্জের মাঝখানে যিনি এক মূলশক্তি তাকে দর্শন করবার জন্তে দৃষ্টিকে অস্তরে ফেরাই। তখন দৃষ্টি থেকে জড়ত্বের আবরণ ঘুচে যায়—জগৎ একটা যন্ত্রের মত আমাদের অভ্যাসের কক্ষ জুড়ে পড়ে থাকে না—প্রতিমুহূর্তেই এই অনন্ত আকাশব্যাপী প্রকাণ্ড প্রকাশ একটি জ্ঞানময় সত্য হতে নিঃস্থত হচ্চে বিকীর্ণ হচ্চে ইহাই অমৃতব করে আমাদের চেতনা পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তখন অগ্নি জল ওষধি বনস্পতির মাঝখানে দাড়িয়ে বলতে পারি, অনন্ত জ্ঞান, অনন্ত ব্ৰহ্ম, সৰ্ব্বত্রই আনন্দরূপে অমৃতরূপে তার প্রকাশ । অগণ্য ঘটনাকে অগণ্য ঘটনারূপে দেখেই চলে যাব না—তার মাঝখানে মনস্ত সত্যকে স্থির হয়ে স্তব্ধ হয়ে দেখব এই জন্তই আমাদের ধ্যানের মন্ত্র গায়ী । 8