পাতা:শান্তিনিকেতন (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অহং হাসিতেই আমার ফুল-তোলা সার্থক হয়ে যায় । অহং আমাদের সেই ঘট, সেই ডালি । তার বেষ্টনের মধ্যে যা এসে পড়ে তাকেই “আমার” বল্বার অধিকার জন্মায়—একবার সেই অধিকারটি না জন্মালে দানের অধিকার জন্মে না | তবেই দেখা যাচ্চে, অহং-এর ধৰ্ম্মই হচ্চে সংগ্রহ করা, সঞ্চয় করা । সে কেবলই নেয়। পেলুম বলে যতই তার গৌরব বোধ হয় ততই তার নেবার আগ্রহ বেড়ে যায়। অহং-এর ষদি এই রকম সব জিনিষেই নিজের নাম নিজের শিলমোহর চিহ্নিত করবার স্বভাব না থাকৃত তাহলে আত্মার যথার্থ কাজটি চলত না— সে দরিদ্র এবং জড়বৎ হয়ে থাকৃত । কিন্তু অহং-এর এই নেবার ধৰ্ম্মটিই যদি একমাত্র হয়ে ওঠে—আত্মার দেবার ধৰ্ম্ম যদি আচ্ছন্ন হয়ে যায়—তবে কেবলমাত্র নেওয়ার २*