পাতা:শান্তিনিকেতন (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নদী ও কুল কোথাও বা বালির উপর কুমীরের ছানা ই করে পড়ে রোদ পোয়াচে । এই চিরপরিবর্তনশীল চরগুলিই যদি একান্ত প্রবল হয়ে ওঠে তাহলেই নদীর চিরন্তন ধারা বাধা পায়—ক্রমে ক্রমে নদী হয়ে পড়ে গৌণ, চরই হয়ে পড়ে মুখ্য। —শেষকালে ফন্তুর মত নদীটা একেবারেই আচ্ছন্ন হয়ে যেতে পারে । আত্মা সেই চিরস্রোত নদীর মত। অনাদি তার উৎপত্তিশিখর, অনন্ত তার সঞ্চারক্ষেত্র ; আনন্দই তাকে গতিবেগ দিয়েছে—সেই গতির বিরাম নেই। এই আত্মা যে দেশ দিয়ে যে কাল দিয়ে চলেছে তার গতিবেগে সেই দেশ ও সেই কালের নানা উপকরণ সঞ্চিত হয়ে তার একটি ংস্কাররূপ তৈরি হতে থাকে—এই জিনিষটি কেবলি ভাংচে, গড়চে, কেবলি আকার পরিবর্তন করচে । NA