পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্ম x \צס প্রয়োজন থেকে, অভাব থেকে, আমরা যে কৰ্ম করি সেই কর্মই আমাদের বন্ধন ; আনন্দ থেকে যা করি সে তো বন্ধন নয়—বস্তুত সেই কর্মই মুক্তি । এইজন্য আনন্দের স্বভাবই হচ্ছে ক্রিয়া ; আনন্দ স্বতই নিজেকে বিচিত্র প্রকাশের মধ্যে মুক্তিদান করতে থাকে। সেইজন্যই অনন্ত আনন্দের অনন্ত প্রকাশ। ব্রহ্ম যে আনন্দ সে এই অনিঃশেষ প্রকাশধর্মের দ্বারাই অহরহ প্রমাণ হচ্ছে । তার ক্রিয়ার মধ্যেই তিনি আনন্দ, এইজন্য র্তার কর্মের মধ্যেই তিনি মুক্তস্বরূপ। আমরাও দেখেছি, আমাদের আনন্দের কর্মের মধ্যেই আমরা মুক্ত। আমরা প্ৰিয়বন্ধুর যে কাজ করি সে কাজ আমাদের দাসত্বে বদ্ধ করে না। শুধু বদ্ধ করে না তা নয়, সেই কৰ্মই আমাদের মুক্ত করে ; কারণ, আনন্দের নিক্রিয়তাই তার বন্ধন, কর্মই তার মুক্তি। তবে কর্ম কখন বন্ধন ? যখন তার মূল আনন্দ থেকে সে বিচ্যুত হয়। বন্ধুর বন্ধুত্বটুকু যদি আমাদের অগোচর থাকে, যদি কেবল তার কাজমাত্রই আমাদের চোখে পড়ে, তবে সেই বিনা বেতনের প্রাণপণ -কাজকে তার প্রতি একটা ভয়ংকর অত্যাচার বলে আমাদের কাছে প্রতিভাত হবে। কিন্তু, বস্তুত তার প্রতি অত্যাচার কোনটা হবে ? যদি তার কাজ বন্ধ করে দিই। কারণ, কর্মের মুক্তি আনন্দের মধ্যে এবং আনন্দের মুক্তি কর্মে। সমস্ত কর্মের লক্ষ আনন্দের দিকে এবং আনন্দের লক্ষ কর্মের দিকে । এইজন্য উপনিষৎ আমাদের কর্ম নিষেধ করেন নি। ঈশোপনিষৎ বলেছেন, মহিষ কর্মে প্রবৃত্ত হবে না এ কোনোমত্ত্বে হতেই পারে =भ1 ।। এইজন্য তিনি পুনশ্চ বলেছেন, যারা কেবল অবিদ্যায় অর্থাৎ