পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্ম ১৩৩ স্বারাই কর্মের সংসারকে উত্তীর্ণ হয়ে— মৃত্যুং তীর্ত – অমৃতকে লাভ করি । : এইজন্যই গৃহস্থের প্রতি উপদেশ আছে, তিনি যে যে কাজ করবেন তা নিজেকে যেন নিবেদন না করেন— তা করলেই কর্ম তাকে নাগপাশে বাধবে এবং ঈর্ষাদ্বেষ লোভক্ষোভের বিষনিশ্বাসে তিনি জর্জরিত হতে থাকবেন— তিনি ‘ষদষৎ কর্ম প্রকুবীত তদব্ৰহ্মণি সমৰ্পয়েৎ, যে যে কৰ্ম করবেন সমস্ত ব্ৰক্ষ্মকে সমর্পণ করবেন। তা হলে, সতী গৃহিণী যেমন সংসারের সমস্ত ভোগের অংশ পরিত্যাগ করেন অথচ সংসারের সমস্ত ভার অশ্রান্ত যত্বে বহন করেন— কারণ, কর্মকে তিনি স্বার্থসাধনরূপে জানেন না, আনন্দসাধনরূপেই জানেন— আমরাও তেমনি কর্মের আসক্তি দূর করে, কর্মের ফলাকাজক্ষা বিসর্জন করে, কর্মকে বিশুদ্ধ আনন্দময় করে তুলতে পারব এবং ষে আনন্দ আকাশে না থাকলে “কোহেবান্তাৎ কঃ প্রাণ্যাৎ, কেই বা কিছুমাত্র চেষ্টা করত, কেই বা প্রাণ ধারণ করত, জগতের সেই সকল চেষ্টার আকর পরমানন্দের সঙ্গে আমাদের সকল চেষ্টাকে যুক্ত ক’রে জেনে আমরা কোনো কালেও এবং কাহা হতেও ভয় প্রাপ্ত হব না। ২৭ পৌষ শক্তি জ্ঞান প্রেম ও শক্তি এই তিন ধারা যেখানে একত্র সংগত সেইখানেই আনন্দতীর্থ। আমাদের মধ্যে জ্ঞান প্রেম ও কর্মের ষে পরিমাণে পূর্ণ মিলন সেই পরিমাণেই আমাদের পূর্ণ আনন্দ। বিচ্ছেদ ঘটলেই পীড়া উৎপন্ন হয়। 4. এইজন্যে কোনো-একটা সংক্ষেপ উপায়ের প্রলোভনে যেখানে আমরা