পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

et예 ১৩৭ মানুষ ব্রহ্মকে কেমন করে বলে ? সেতারের তার যেমন করে গানকে বলে। সে নিজের সমস্ত গতির দ্বারা, স্পন্দনের দ্বার, ক্রিয়ার দ্বারাই বলে— সর্বতোভাবে গানকে প্রকাশের দ্বারাই সে নিজের সার্থকতা সাধন করে । அம்: * ব্রহ্ম, নিজেকে কেমন করে বলছেন ? নিজের ক্রিয়ার দ্বারা অনস্ত আকাশকে আলোকে ও আকারে পরিপূর্ণ ক’রে, স্পন্দিত ক’রে, ংকৃত করে তিনি বলছেন । আনন্দরূপমমৃতং যদবিভতি । তিনি কর্মের মধ্যেই আপন আনন্দবাণী বলছেন, আপন অমৃতসংগীত বলছেন। র্তার সেই আনন্দ এবং তার কর্ম একেবারে একাকার হয়ে দু্যলোকে ভূলোকে বিকীর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্ৰহ্মবাদীও যখন ব্রহ্মকে বলবেন তখন আর কেমন করে বলবেন ? তাকে কর্মের দ্বারাই বলতে হবে। র্তাকে ক্রিয়াবান হতে হবে। সে কর্ম কেমন কর্ম ?— না, যে কর্ম দ্বারা প্রকাশ পায় তিনি ‘আত্মক্রীড় আত্মরতিঃ’, পরমাত্মায় তার ক্রীড়া, পরমাত্মায় তার আনন্দ। যে কর্মে প্রকাশ পায় তার আনন্দ নিজের স্বার্থ-সাধনে নয়, নিজের গৌরব-বিস্তারে নয়। তিনি যে নাতিবাদী’ । তিনি পরমাত্মাকে ছাড়া নিজের কর্মে আর কাউকেই প্রকাশ করতে চান না । তাই সেই ‘ব্রহ্মবিদাং বরিষ্ঠ’ তার জীবনের প্রত্যেক কাজে নানা ভাষায় নানা রূপে এই সংগীত ধ্বনিত করে তুলছেন : শাস্তম্শিবমদ্বৈতম্। জগৎক্রিয়ার সঙ্গে তার জীবনক্রিয়া এক ছন্দে এক রাগিণীতে গান করছে । অন্তরের মধ্যে যা আত্মক্রীড়া, যা পরমাত্মার সঙ্গে ক্রীড়া, বাহিরে সেইটিই যে জীবনের কর্ম। অস্তরের সেই আনন্দ বাহিরের সেই কর্মে উচ্ছসিত হচ্ছে, বাহিরের সেই কৰ্ম অস্তরের সেই আনন্দে আবার ফিরে ফিরে যাচ্ছে। এমনি করে অস্তরে বাহিরে আনন্দ ও কর্মের অপূর্ব