পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ○ゲ শান্তিনিকেতন ' সুন্দর আবর্তন চলছে, এবং সেই আবর্তনবেগে নব নব মঙ্গললোকের স্বষ্টি হচ্ছে । সেই আবর্তনবেগে জ্যোতি উদ্দীপ্ত হচ্ছে, প্রেম উৎসারিত হয়ে উঠছে। এমনি করে যিনি চরাচর নিখিলে প্রাণরূপে, অর্থাৎ একই কালে আনন্দ ও কর্মরূপে, প্রকাশমান সেই প্রাণকে ব্রহ্মবিং আপনার প্রাণের দ্বারাই প্রকাশ করেন। সেইজন্যে আমার প্রার্থনা এই যে, ‘হে প্রাণস্বরূপ, আমার সেতারের তারে যেন মরচে না পড়ে, যেন ধুলো না জমে— বিশ্বপ্রাণের স্পন্দনাভিঘাতে সে দিনরাত বাজতে থাকুক— কর্মসংগীতে বাজতে থাকুক— তোমারই নামে বাজতে থাকুক। প্রবল আঘাতে মাঝে মাঝে যদি তার ছিড়ে যায় তো সেও ভালো, কিন্তু শিথিল না হয়, মলিন না হয়, ব্যর্থ না হয়। ক্রমেই তার স্বর প্রবল হোক, গভীর হোক, সমস্ত অস্পষ্টত পরিহার ক’রে সত্য হয়ে উঠক – প্রকৃতির মধ্যে ব্যাপ্ত এবং মানবাত্মার মধ্যে প্রতিধ্বনিত হোক – হে আবিঃ, তোমার আবির্ভাবের দ্বারা সে ধন্য হোক।’ ২৯ পৌষ জগতে মুক্তি ভারতবর্ষে একদিন অদ্বৈতবাদ কর্মকে অজ্ঞানের, অবিদ্যার, কোঠায় নির্বাসিত ক’রে অত্যস্ত বিশুদ্ধ হতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, ব্রহ্ম যখন নিক্রিয় তখন ব্ৰহ্মলাভ করতে গেলে কর্মকে সমূলে ছেদন করা অবিশু্যক । Г. সেই অদ্বৈতবাদের ধারা ক্রমে যখন দ্বৈতবাদের নানাশাখাময়ী নদীতে পরিণত হল তখন ব্রহ্ম এবং অবিদ্যাকে নিয়ে একটা দ্বিধা উৎপন্ন হল।