পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У 8 е শাস্তিনিকেতন ভয় কিছুতেই ঘোচেনা।— অব্যবস্থিতচিত্তস্ত প্রসাদোহপি ভয়ংকর:। যেখানে ব্যবস্থা দেখতে পাই নে সেখানে প্রসাদেও মন নিশ্চিস্ত হয় না । কারণ, সেই প্রসাদের উপর আমার নিজের কোনো দাবি নেই, সেটা একেবারেই একতরফা জিনিস । অথচ, যার সঙ্গে এত বড়ো কারবার তার সঙ্গে মানুষ নিজের একটা যোগের পথ না খুলে যে বঁাচতে পারে না। কিন্তু, তার মধ্যে যদি কোনো নিয়ম না থাকে তবে তার সঙ্গে যোগেরও তো কোনো নিয়ম থাকতে পারে না । * এমন অবস্থায় যে লোকই তাকে যেরকমই তুকতাক বলে তাই সে অঁাকড়ে থাকতে চায় ; সেই তুকতাক যে মিথ্যে তাও তাকে বোঝানো অসম্ভব, কারণ, বোঝাতে গেলেও নিয়মের দোহাই দিয়েই তো বোঝাতে হয়। কাজেই মানুষ মন্ত্রতন্ত্র তাগা-তাবিজ এবং অর্থহীন বিচিত্র বাহপ্রক্রিয়া নিয়ে অস্থির হয়ে বেড়াতে থাকে। জগতে এরকম করে থাকা ঠিক পরের বাড়ি থাকা । সেও আবার এমন পর যে খামখেয়ালিতার অবতার। হয়তো পাত পেড়ে দিয়ে গেল, কিন্তু অন্ন আর দিলই না। হয়তো হঠাৎ হুকুম হল, আজই এখনই ঘর ছেড়ে বেরোতে হবে। এইরকম জগতে পরান্নভোজী পরাবসথশায়ী হয়ে মানুষ পীড়িত এবং অবমানিত হয়। সে নিজেকে বদ্ধ বলেই জানে ও দীন বলে শোক করতে থাকে । এর থেকে মুক্তি কখন পাই ? এর থেকে পালিয়ে গিয়ে নয়। কারণ, পালিয়ে যাব কোথায় ? মরবার পথও যে এ আগলে বসে আছে। জ্ঞান যখন বিশ্বজগতে অখণ্ড নিয়মকে আবিষ্কার করে, যখন দেখে কার্যকারণের কোথাও ছেদ নেই, তখন সে মুক্তিলাভ করে। কেননা, জ্ঞান তখন জ্ঞানকেই দেখে । এমন-কিছুকে পায় যার সঙ্গে