পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মত >82) এই ইচ্ছা যে অস্তরে আছে, এই বৈরাগ্য যে সমস্ত উপকরণের ধাধার মাঝখানে পথভ্রষ্ট বালকের মতো থেকে থেকে কেঁদে উঠছে। তবে আমি মায়াবাদকে গাল দেব কোন মুখে ! আমার মনের মধ্যে যে এক শ্মশানবাসী বসে আছে, সে যে আর-কিছুই জানে না, সে ষে কেবল জানে— একমেবাদ্বিতীয়ম্। ২ মাঘ নির্বিশেষ সংসার পদার্থটা আলো-আঁধার ভালোমন্দ জন্মমৃতু্য প্রভৃতি দ্বন্দ্বের নিকেতন এ কথা অত্যস্ত পুরাতন । এই দ্বন্দ্বের দ্বারাই সমস্ত খণ্ডিত আকর্ষণশক্তি বিপ্রকর্ষণশক্তি, কেন্দ্রাকুগশক্তি কেন্দ্রাতিগশক্তি, কেবলই বিরুদ্ধতা দ্বারাই স্বষ্টিকে জাগ্রত করে রেখেছে। কিন্তু, এই বিরুদ্ধতাই যদি একান্ত সত্য হত তা হলে জগতের মধ্যে আমরা যুদ্ধকেই দেখতুম, শাস্তিকে কোথাও কিছুমাত্র দেখতুম না। অথচ, স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, সমস্ত দ্বন্দ্বযুদ্ধের উপরে অখণ্ড শাস্তি বিরাজমান। তার কারণ এই বিরোধ সংসারেই আছে, ব্রহ্মে নেই। আমরা তর্কের জোরে সোজা লাইনকে অনন্তকাল সোজা করে টেনে নিয়ে চলতে পারি। আমরা মনে করি, অন্ধকারকে সোজা করে টেনে চললে সে অনন্তকাল অন্ধকারই থাকবে, কারণ, অন্ধকারের একটা বিশিষ্টতা আছে সেই বিশিষ্টতার কুত্ৰাপি অবসান নেই। তর্কে এইপ্রকার সোজা লাইন থাকতে পারে, কিন্তু সত্যে নেই। সত্যে গোল লাইন। অন্ধকারকে টেনে চলতে গেলে ধীরে ধীরে বেঁকে বেঁকে এক জায়গায় সে আলোয় গোল হয়ে ওঠে। মুখকে সোজা লাইনে