পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У Ф. о শান্তিনিকেতন টানতে গেলে সে দুঃখে এসে বেঁকে দাড়ায়। ভ্রমকে ঠেলে চলতে চলতে এক জায়গায় সে সংশোধনের রেখায় আপনি এসে পড়ে। এর একটিমাত্র কারণ, অনন্তের মধ্যে বিরুদ্ধতার পক্ষপাত নেই। অখণ্ড আকাশগোলকের মধ্যে পূর্ব দিকের পূর্বত্ব নেই, পশ্চিমের পশ্চিমত্ব নেই ; পূর্ব পশ্চিমের মাঝখানে কোনো বিরোধ নেই, এমন-কি বিচ্ছেদও নেই। পূর্ব পশ্চিমের বিশেষত্ব খণ্ড-আমির বিশেষত্বকে আশ্রয় করেই আছে । এই-ষে জিনিসটা ব্রহ্মের স্বরূপে নেই অথচ আছে, তাকে কী নাম দেওয়া যেতে পারে ? বেদান্ত তাকে মায়া নাম দিয়েছেন, অর্থাৎ ব্রহ্ম যে সত্য এ সে সত্য নয় । এ মায়া । যখনই ব্রহ্মের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে যাই তখনই একে আর দেখা যায় না। ব্রহ্মের দিক থেকে দেখতে গেলেই এসমস্তই অখণ্ড গোলকে অনন্তভাবে পরিসমাপ্ত । আমার দিক দিয়ে দেখতে গেলেই বিরোধের মধ্যে, প্রভেদের মধ্যে, বহুর মধ্যে, বিচিত্র বিশেষে বিভক্ত । এইজন্য যারা সেই অখণ্ড অদ্বৈতের সাধনা করেন তারা ব্রহ্মকে বিশেষ হতে মুক্ত করে বিশুদ্ধভাবে জানেন। ব্রহ্মকে নির্বিশেষ জানেন । এবং এই নির্বিশেষকে উপলব্ধি করাকেই তারা জ্ঞানের চরম লক্ষ্য করেন । এই-যে অদ্বৈতের বিরাট সাধনা, ছোটো বড়ো নানা মাত্রায় মাতুষ এতে প্রবৃত্ত আছে। একেই মানুষ মুক্তি বলে। আপেল ফল পড়াকে মানুষ এক সময়ে একটা স্বতন্ত্র বিশেষ ঘটনা বলেই জানত। তার পরে তাকে একটা বিশ্বব্যাপী অতিবিশেষের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়ে জ্ঞানের বন্ধন-মোচন করে দিলে। এইটি করাতেই মানুষ জ্ঞানের সার্থকতা লাভ করলে । মাহুষ অহংকারকে যখন একান্ত বিশেষ করে জানে তখন সে নিজের