છે ( ૨ শান্তিনিকেতন নাম দাও ) কি বাইরে থেকে জোর করে এই মায়াকে আরোপ করে দিয়েছে ? সে তো কোনোমতে মনেও করতে পারি নে। উপনিষদে এই প্রশ্নের উত্তর এই যে : আনন্দাদ্ধ্যেব খম্বিমানি ভূতানি জায়ন্তে। ব্রহ্মের আনন্দ থেকেই এইসমস্ত যা-কিছু হচ্ছে। এ র্তার ইচ্ছা, তার আনন্দ । বাইরের জোর নয়। এমনি করে বিশেষের পথ পার হয়ে সেই নির্বিশেষে, আনন্দের মধ্যে, যেমনি পৌছনো যায় অমনি লাইন ঘুরে আবার বিশেষের দিকে ফিরে আসে। কিন্তু, তখন এইসমস্ত বিশেষকে আনন্দের ভিতর দিয়ে দেখতে পাই, আর সে আমাদের বদ্ধ করতে পারে না। কর্ম তখন আনন্দের কর্ম হয়ে ফলাকাজক্ষা ত্যাগ করে বেঁচে যায়, সংসার তখন আনন্দময় হয়ে ওঠে। কৰ্মই তখন চরম হয় না, সংসারই তখন চরম হয় না, আনন্দই তখন চরম হয় । এমনি করে মুক্তি আমাদের যোগে নিয়ে আসে, বৈরাগ্য আমাদের প্রেমে উত্তীর্ণ করে দেয় । ७ मध्य ठूझे স পর্যগাচ্ছক্ৰেমকায়মত্রণমহ্মণবিরং শুদ্ধমপাপবিদ্ধং । কবির্মনীষী পরিভৃঃ স্বয়স্থর্যাথাতথ্যতোহখান ব্যদধাচ্ছাশ্বতীভ্য: সমাভ্যঃ । উপনিষদের এই মন্ত্রটিকে আমি অনেকদিন অবজ্ঞা করে এসেছি। নানা কারণেই এই মন্ত্রটিকে খাপছাড়া এবং অদ্ভূত মনে হত। বাল্যকাল থেকে আমরা এই মন্ত্রের অর্থ এইভাবে শুনে আসছি—
পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।