পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

फूझे 为金° “তিনি সর্বব্যাপী, নির্মল, নিরবয়ব, শিরা ও ব্রণ -রহিত, শুদ্ধ, অপাপবিদ্ধ। তিনি সর্বদর্শী, মনের নিয়ন্ত, সকলের শ্রেষ্ঠ ও স্বপ্রকাশ ; তিনি সৰ্বকালে প্রজাদিগকে যথোপযুক্ত অর্থসকল বিধান করিতেছেন। ঈশ্বরের নাম এবং স্বরূপের তালিকা নানা স্থানে শুনে শুনে আমাদের অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এখন এগুলি আবৃত্তি করা এত সহজ হয়ে পড়েছে যে এজন্য আর চিন্তা করতে হয় না, সুতরাং, যে শোনে তারও চিন্তা উদ্রেক করে না। বাল্যকালে উল্লিখিত মন্ত্রটিকে আমি চিন্তার দ্বারা গ্রহণ করি নি, বরঞ্চ আমার চিস্তার মধ্যে একটি বিদ্রোহ ছিল। প্রথমত, এর ব্যাকরণ এবং রচনাপ্রণালীতে ভারী একটা শৈথিল্য দেখতে পেতুম। তিনি সর্বব্যাপী এই কথাটাকে একটা ক্রিয়াপদের দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে ; যথা ‘স পর্যগাং । তার পরে তার অন্য সংজ্ঞাগুলি ‘শুক্রম্ ‘অকণয়ম প্রভৃতি বিশেষণপদের দ্বারা ব্যক্ত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ‘শুক্রম "অকায়ম এগুলি ক্লীবলিঙ্গ, তার পরেই হঠাৎ ‘কবিৰ্মনীষী’ প্রভৃতি পুংলিঙ্গ বিশেষণের প্রয়োগ হয়েছে। তৃতীয়ত, ব্রহ্মের শরীর নেই এই পর্যন্তই সহ করা যায়, কিন্তু ব্ৰণ নেই, স্বায়ু নেই বললে এক তো বাহুল্য বলা হয়, তার পরে আবার কথাটাকে অত্যন্ত নামিয়ে নিয়ে আসা হয়। এইসকল কারণে আমাদের উপাসনার এই মন্ত্রটি দীর্ঘকাল আমাকে পীড়িত করেছে । অন্ত:করণ যখন ভাবকে গ্রহণ করবার জন্যে প্রস্তুত থাকে না তখন শ্রদ্ধাহীন শ্রোতার কাছে কথাগুলি তার সমস্ত অর্থটা উদঘাটিত করে দেয় না। অধ্যাত্মমন্ত্রকে যখন সাহিত্য-সমালোচকের কান দিয়ে শুনেছি তখন সাহিত্যের দিক দিয়েও তার ঠিক বিচার করতে পারি নি । । আমি সেজন্তে অমৃতপ্ত নই, বরঞ্চ আনন্দিত। মূল্যবান জিনিসকে তখনই লাভ করা সৌভাগ্য যখন তার মূল্য বোঝবার শক্তি কিছু