পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S & 8 শান্তিনিকেতন পরিমাণে হয়েছে ; যথার্থ অভাবের পূর্বে পেলে পাওয়ার আনন্দ ও সফলতা থেকে বঞ্চিত হতে হয় । পূর্বে আমি দেখতে পাই নি যে এই মন্ত্রের দুটি ছত্রে দুটি ক্রিয়াপদ প্রধান স্থান অধিকার করে আছে । একটি হচ্ছে ‘পর্যগাং’ ; তিনি সর্বত্রই গিয়েছেন, সর্বত্রই আছেন। আর-একটি হচ্ছে ‘ব্যদধাৎ ; তিনি সমস্তই করেছন । এই মন্ত্রের এক অর্ধে তিনি আছেন, অন্য অর্ধে তিনি করছেন । যেখানে আছেন সেখানে ক্লীবলিঙ্গ বিশেষণপদ, যেখানে করছেন সেখানে পুংলিঙ্গ বিশেষণ । অতএব, বাহুল্য কোনো কথা না বলে একটি ব্যাকরণের ইঙ্গিতের দ্বারা এই মন্ত্র একটি গভীর সার্থকতা লাভ করেছে । তিনি সর্বত্র আছেন ; কেননা, তিনি মুক্ত, তার কোথাও কোনো বাধা নেই। না আছে শরীরের বাধা, না আছে পাপের বাধা । তিনি আছেন এই ধ্যানটিকে সম্পূর্ণ করতে গেলে তার সেই মুক্ত বিশুদ্ধ স্বরূপকে মনে উজ্জল করে দেখতে হয় । তিনি যে কিছুতেই বদ্ধ নন এইটিই সর্বব্যাপিত্বের লক্ষণ । 曾 শরীর যার আছে সে সবত্র নেই। শুধু সর্বত্র নেই তা নয় ; সে সর্বত্র নির্বিকারভাবে থাকতে পারে না, কারণ, শরীরের ধর্মই বিকার । র্তার শরীর নেই, সুতরাং তিনি নির্বিকার, তিনি অত্রণ। যার শরীর আছে সে ব্যক্তি স্নায়ু প্রভৃতির সাহায্যে নিজের প্রয়োজন সাধন করে ; সেরকম সাহায্য তার পক্ষে সম্পূর্ণ অনাবশ্যক। শরীর নেই বলার দরুন কী বলা হল তা ওই অত্রণ ও অক্ষাবির বিশেষণের দ্বারা ব্যক্ত কর। হয়েছে ; তার শারীরিক সীমা নেই, স্বতরাং তার বিকার নেই এবং খণ্ডভাবে খণ্ড উপকরণের দ্বারা তাকে কাজ করতে হয় না। তিনি "শুদ্ধং অপাপবিদ্ধং’ ; কোনোপ্রকার পাপপ্রবৃত্তি র্তাকে এক দিকে হেলিয়ে