পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूट्रे St t এক দিকে বেঁধে রাখে না। স্বতরাং, তিনি সর্বত্রই সম্পূর্ণ সমান। এই তো গেল ‘স পর্যগাৎ’ । of 壘 তার পরে ‘স ব্যদধাৎ’ ; যেমন অনন্ত দেশে তিনি ‘পর্যগাং’ তেমনি অনন্ত কালে তিনি ‘ব্যদধাৎ’ । ব্যদধাৎ শাশ্বতীভ্য: সমাভ্যঃ । নিত্য কাল হতে বিধান করছেন এবং নিত্য কালের জন্য বিধান করছেন । সে বিধান কিছুমাত্র এলোমেলো নয়— যাথাতথ্যতোইথান ব্যদধাৎ— যেখানকার যেটি অর্থ ঠিক সেইটেই একেবারে যথাতথরূপে বিধান করছেন। তার আর লেশমাত্র ব্যত্যয় হবার জো নেই। এই যিনি বিধান করেন তার স্বরূপ কী ? তিনি কবি । এ স্থলে কবি শব্দের প্রতিশব্দস্বরূপ সর্বদশী কথাটা ঠিক চলে না। কেননা, এখানে তিনি যে কেবল দেখছেন তা নয়, তিনি করছেন। কবি শুধু দেখেন জানেন তা নয়, তিনি প্রকাশ করেন। তিনি যে কবি, অর্থাৎ র্তার আনন্দ যে একটি স্বশৃঙ্খল স্থষমার মধ্যে স্থবিহিত ছন্দে নিজেকে প্রকাশ করছে, তা তার এই জগৎ-মহাকাব্য দেখলেই টের পাওয়া যায়। জগৎ-প্রকৃতিতে তিনি কবি, মানুষের মনঃপ্রকৃতিতে তিনি অধীশ্বর। বিশ্বমানবের মন যে আপনা-আপনি যেমন-তেমন করে একটা কাও করছে তা নয়, তিনি তাকে নিগৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রিত করে ক্ষুদ্র থেকে ভূমার দিকে, স্বার্থ থেকে পরমার্থের দিকে নিয়ে চলেছেন । তিনিই হচ্ছেন ‘পরিভৃঃ’ । কি জগৎপ্রকৃতি কি মানুষের মন, সর্বত্র তার প্রভুত্ব। কিন্তু, র্তার এই কবিত্ব ও প্রভুত্ব বাইরের কিছু থেকে নিয়মিত হচ্ছে না ; তিনি স্বয়ম্ভূ— তিনি নিজেকেই নিজে প্রকাশ করেন। এইজন্যে র্তার কর্মকে, তার বিধানকে, বাইরে থেকে দেশে বা কালে বাধা দেবার কিছুই নেই ; এবং এই কারণেই শাশ্বত কালে তার বিধান, এবং যথাতথরূপে র্তার বিধান । i আমাদের স্বভাবেও এইরকম ভাববাচ্য ও কর্মবাচ্য দুই বাচ্য আছে।