পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ Φ θ' শান্তিনিকেতন তার জল স্থল বাতাসকে আমরা অবজ্ঞা করি ; তাদের আমরা অহংকৃত হয়ে ভৃত্য বলি, এবং জগৎ আমাদের কাছে একটা যন্ত্র হয়ে ওঠে। এই অবজ্ঞার দ্বারা আমরা নিজেকেই বঞ্চিত করি। যাকে আমরা বড়ো করে পেতুম তাকে ছোটো করে পাই, যাতে আমাদের চিত্তও পরিতৃপ্ত হত তাতে আমাদের কেবল পেট ভরে মাত্র। র্যারা জল স্থল বাতাসকে কেবল প্রতিদিনের ব্যবহারের দ্বারা জীর্ণ সংকীর্ণ করে দেখেন নি, যারা নিত্য নবীন দৃষ্টি ও উজ্জল জাগ্রত চৈতন্তের দ্বারা বিশ্বকে অস্তরের মধ্যে সমাদৃত অতিথির মতো গ্রহণ করেছেন এবং চরাচর সংসারের মাঝখানে জোড়হন্তে দাড়িয়ে উঠে বলেছেন— যো দেবোইগ্নেী যোহগ্ৰস্থ যো বিশ্বং ভূবনমাবিশেষ । ষ ওষধিযু যে বনস্পতিযু তস্মৈ দেবায় নমোনমঃ ॥ তাদের উচ্চারিত এই সজীব মন্ত্রটিকে জীবনের মধ্যে গ্রহণ করে ঈশ্বর যে সর্বব্যাপী এই জ্ঞানকে সর্বত্র সার্থক করো। যিনি সর্বত্র প্রত্যক্ষ তার প্রতি তোমার ভক্তি সর্বত্র উচ্ছসিত হয়ে উঠুক। বোধশক্তিকে আর অলস রেখো না, দৃষ্টির পশ্চাতে সমস্ত চিত্তকে প্রেরণ করে। দক্ষিণে বামে, অধোতে উর্ধের্ব, সম্মুখে পশ্চাতে চেতনার দ্বারা চেতনার স্পর্শ লাভ করো। তোমার মধ্যে অহোরাত্র যে ধীশক্তি বিকীর্ণ হচ্ছে সেই ধীশক্তির ষোগে ভূত্ৰভুবঃস্বলোকে সর্বব্যাপী ধীকে ধ্যান করে, নিজের তুচ্ছতা-দ্বারা অগ্নি জলকে তুচ্ছ কোরো না। সমস্তই । আশ্চর্য, সমস্তই পরিপূর্ণ। নমোনমঃ, নমোনমঃ ! সর্বত্রই মাথা নত হোক, হৃদয় নম্র হোক এবং আত্মীয়তা প্রসারিত হয়ে যাক। যাকে বিনা মূল্যে পেয়েছ তাকে সচেতন সাধনার মূল্যে লাভ করে, ষে অজস্র অক্ষয় সম্পদ বাহিরে রয়েছে তাকে অস্তরে গ্রহণ করে ধন্য হও । ষ ওষধিযু যে বনস্পতিযু তস্মৈ দেবায় নমোনমঃ ।