পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বব্যাপী ه ٤ د পূর্বছত্রে আছে, যিনি অগ্নিতে, জলে, যিনি বিশ্বভুবনে প্রবিষ্ট হয়ে আছেন— তার পরে অাছে, যিনি ওষধিতে, বনম্পতিতে, তাকে বারবার নমস্কার করি । হঠাৎ মনে হতে পারে, প্রথম ছত্রেই কথাটা নিঃশেষিত হয়ে গেছে। তিনি বিশ্বভুবনেই আছেন, তবে কেন শেষের দিকে কথাটাকে এত ছোটো করে ওষধি-বনস্পতির নাম করা হল ? বস্তুত, মানুষের কাছে এইটেই শেষের কথা। ঈশ্বর বিশ্বভুবনে আছেন এ কথা বলা শক্ত নয় এবং আমরা অনায়াসেই বলে থাকি । এ কথা বলতে গেলে আমাদের উপলব্ধিকে অত্যন্ত সত্য করে তোলার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু, তার পরেও যে ঋষি বলেছেন “তিনি এই ওষধিতে এই বনস্পতিতে আছেন? সে ঋষি মন্ত্রদ্রষ্ট । মন্ত্রকে তিনি কেবল মননের দ্বারা পান নি, দর্শনের দ্বারা পেয়েছেন। তিনি র্তার তপোবনের তরুলতার মধ্যে কেমন পরিপূর্ণ চেতনভাবে ছিলেন– তিনি যে নদীর জলে স্নান করতেন সে স্নান কী পবিত্র স্নান, কী সত্য স্নান— তিনি যে ফল ভক্ষণ করেছিলেন তার স্বাদের মধ্যে কী অমৃতের স্বাদ ছিল— তার চক্ষে প্রভাতের সূর্যোদয় কী গভীর গম্ভীর, কী অপরূপ প্রাণময় চৈতন্যময় স্থৰ্যোদয়— সে কথা মনে করলে হৃদয় পুলকিত হয়। তিনি বিশ্বভুবনে আছেন এ কথা বলে তাকে সহজে বিদায় করে দিলে চলবে না। কবে বলতে পারব তিনি এই ওষধিতে আছেন, এই বনস্পতিতে আছেন ? ৫ মাঘ