পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

l 褒 মৃত্যুর প্রকাশ > * > ভিতর দিয়ে না পেলে এমন সম্পূর্ণ করে পাওয়া যায় না। জীবন নানা সীমার দ্বারা আপনাকে বেষ্টিত করে রক্ষা করে ; সেই সীমা কিছু-না-কিছু বাধী রচনা করে । । মৃত্যুর দ্বারাই সেই মহাপুরুষ তার জীবনকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গ করেছেন ; তার সমস্ত বাধা দূর হয়ে গেছে ; এই জীবনকে নিয়ে আমাদের কোনো সাংসারিক প্রয়োজনের তুচ্ছতা নেই, কোনো লৌকিক ও সাময়িক সম্বন্ধের ক্ষুদ্রতা নেই। তার সঙ্গে কেবল একটিমাত্র সম্পূর্ণ যোগ হয়েছে, সে হচ্ছে অমৃতের যোগ। মৃত্যুই এই অমৃতকে প্রকাশ করে । * “, মৃত্যু আজ তার জীবনকে আমাদের প্রত্যেকের নিকটে এনে দিয়েছে, প্রত্যেকের অস্তরে এনে দিয়েছে । এখন আমরা যদি প্রস্তুত থাকি, যদি তাকে গ্রহণ করি, তবে তার জীবনের সঙ্গে আমাদের জীবনের রাসায়নিক সম্মিলনের কোনো ব্যাঘাত থাকে না । তার পার্থিব জীবনের উৎসর্গ আজ কিনা ব্রহ্মের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে, সেইজন্তে তিনি আজ সম্পূর্ণরূপে আমাদের সকলের হয়েছেন। বনের ফুল পূজাঅবসানে প্রসাদী ফুল হয়ে আজ বিশেষরূপেই সকলের সামগ্রী হয়েছেন। আজ সেই ফুলে তার পূজার পুণ্য সম্পূর্ণ হয়েছে, আজ সেই ফুলে তার দেবতার আশীর্বাদ মূর্তিমান হয়েছে। সেই পবিত্র নির্মাল্যটি মাথায় করে নিয়ে আজ আমরা বাড়ি চলে যাব, এইজন্য তার মৃত্যুদিনের উৎসব। বিশ্বপাবন মৃত্যু আজ স্বয়ং সেই মহৎজীবনকে আমাদের সম্মুখে উদঘাটন করে দাড়িয়েছেন— অন্তকার দিন আমাদের পক্ষে যেন ব্যর্থ না হয় । একদিন কোন ৭ই পোষে তিনি একলা অমৃতজীবনের দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন, সেদিনকার সংবাদ খুব অল্প লোকেই জেনেছিল । ৬ই মাঘে স্বত্যু যখন যবনিক উদঘাটন করে দাড়ালে৷ তখন কিছুই আর প্রচ্ছন্ন " * > . . .”