পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

为心8 ل শান্তিনিকেতন আনন্দে বিসর্জন দেবেন, তাদের ক্ষয়গ্রস্ত জীবনের ক্ষতিপূরণ করবেন, প্রতিদিনের সঞ্চিত মলিনতা ধৌত করে নেবেন, মহোৎসবক্ষেত্রে চিরনবীনতার যে অমৃত-উৎস আছে তারই জল পান করবেন এবং তাতেই স্নান করে নবজীবনে সদ্যোজাত শিশুর মতো প্রফুল্প হয়ে উঠবেন। এই লাভ এই আনন্দ ব্রাহ্মসমাজ উৎসবের থেকে গ্রহণ যদি করতে পারেন তবে ব্রাহ্মসম্প্রদায় ধন্ত হবেন, কিন্তু এইটুকুতেই উৎসবের শেষ পরিচয় আমরা লাভ করতে পারি নে। আমাদের এই উৎসব ব্রাহ্মসমাজের চেয়ে অনেক বড়ো ; এমন-কি, একে যদি ভারতবর্ষের উৎসব বলি তা হলেও একে ছোটো করা হবে । অামি বলছি, আমাদের এই উৎসব মানবসমাজের উৎসব। এ কথা যদি সম্পূর্ণ প্রত্যয়ের সঙ্গে আজ না বলতে পারি তা হলে চিত্তের সংকোচ দূর হবে না ; তা হলে এই উৎসবের ঐশ্বর্যভাণ্ডার আমাদের কাছে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত হবে না ; আমরা ঠিক জেনে যাব না কিসের যজ্ঞে আমর। আহত হয়েছি। আমাদের উৎসবকে ব্রহ্মোৎসব বলব, কিন্তু ব্রাহ্মোৎসব বলব না, এই সংকল্প মনে নিয়ে আমি এসেছি। যিনি সত্যম তার আলোকে এই উৎসবকে সমস্ত পৃথিবীতে আজ প্রসারিত করে দেখব ; আমাদের এই প্রাঙ্গণ আজ পৃথিবীর মহাপ্রাঙ্গণ— এর ক্ষুদ্রতা নেই। একদিন ভারতবর্ষ তার তপোবনে দাড়িয়ে বলেছিলেন— শৃশ্বস্তু বিশ্বে অমৃতস্ত পুত্র অ' ষে দিব্যধামানি তস্থঃ । বেদাহমেতং পুরুষং মহাস্তম্ আদিত্যবর্ণং তমস: পরস্তাৎ ॥ হে অমৃতের পুত্ৰগণ যারা দিব্যধামে আছ সকলে শোনো ; আমি জ্যোতির্ময় মহান পুরুষকে জেনেছি।