পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবযুগের উৎসব 3°创 প্রদীপ আপনার আলোককে কেবল আপনার মধ্যে গোপন করে রাখতে পারে না। মহাস্তং পুরুষম্– মহান পুরুষকে, মহৎ সত্যকে, যারা পেয়েছেন তারা আর তো দরজা বন্ধ করে থাকতে পারেন না । এক মুহুর্তেই তারা একেবারে বিশ্বলোকের মাঝখানে এসে দাড়ান ; নিত্যকাল তাদের কণ্ঠকে আশ্রয় করে আপন মহাবাণী ঘোষণা করেন"; দিব্যধামকে র্তারা তাদের চারি দিকেই প্রসারিত দেখেন ; আর, ষে মানুষের মুখেই দৃষ্টিপাত করেন— সে মূৰ্খই হোক আর পণ্ডিতই হোক, সে রাজচক্রবর্তী হোক আর দীন দরিদ্রই হোক— অমৃতের পুত্র বলে তার পরিচয় প্রাপ্ত হন। সেই যেদিন ভারতবর্ষের তপোবনে অনন্তের বার্তা এসে পৌঁচেছিল, সেদিন ভারতবর্ষ আপনাকে দিব্যধাম বলে জানতেন ; সেদিন তিনি অমৃতের পুত্রদের সভায় অমৃতমন্ত্র উচ্চারণ করেছিলেন । সেদিন তিনি বলেছিলেন— যস্ত সর্বাণি ভূতানি আত্মন্তেবায়ুপগুতি। সর্বভূতেষু চাত্মানং ততো ন বিজুগুপাতে ॥ যিনি সর্বভূতকেই পরমাত্মার মধ্যে এবং পরমাত্মাকে সর্বভূতের মধ্যে দেখেন তিনি কাউকেই আর ঘৃণা করেন না। ভারতবর্ষ বলেছিলেন— তে সর্বগং সর্বতঃ প্রাপ্য ধীর। যুক্তাত্মানঃ সর্বমেবাবিশন্তি । যিনি সর্বব্যাপী, তাকে সর্বত্রই প্রাপ্ত হয়ে তার সঙ্গে যোগযুক্ত ধীরের সকলের মধ্যেই প্রবেশ করেন। সেদিন ভারতবর্ষ নিখিল লোকের মাঝখানে দাড়িয়েছিলেন ; জল স্থল আকাশকে পরিপূর্ণ দেখেছিলেন ; উর্ধ্বপূর্ণমধঃপূর্ণং দেখেছিলেন। সেদিন সমস্ত অন্ধকার তার কাছে উদঘাটিত হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন : বেদাহং । আমি জেনেছি, আমি পেয়েছি।