পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবযুগের উৎসব । ఆA বাহিরের বৃহৎ সংস্রবকে সর্বতোভাবে দূরে রাখবার জন্তে নিষেধের প্রাচীর তুলে দিয়ে স্বর্যালোক এবং বাতাসকে পর্যন্ত তিরস্কৃত করেছেন— কেবলই বিভাগ, কেবলই বাধা । বিশ্বের লোক গুরুর কাছে বসে যে দীক্ষা নেবে সে দীক্ষার মন্ত্র কোথায়, সে দীক্ষার অবারিত মন্দির কোথায় ? সে আহবানবাণী কোথায় ষে বাণী একদিন চারি দিকে এই ব’লে ধবনিত হয়েছিল— যথাপঃ প্রবতাষস্তি যথা মাসা অহর্জরম্ এবং মাং ব্রহ্মচারিণোধাত আয়ন্তু সর্বত: স্বাহা । জল যেমন স্বভাবতই নিম্নদেশে গমন করে, মাসসকল যেমন স্বভাবতই সংবৎসরের দিকে ধাবিত হয়, তেমনি সকল দিক হতেই ব্রহ্মচারিগণ আমার নিকট আস্বন, স্বাহা । কিন্তু, সেই স্বভাবের পথ যে আজ রুদ্ধ। ধর্ম জ্ঞান সমাজ তাদের সিংহদ্বার বন্ধ করে বসে আছে ; কেবল অস্তঃপুরের যাতায়াতের জন্তে খিড়কির দরজার ব্যবহার চলছে মাত্র । সত্যসম্পদের দারিদ্র্য না ঘটলে এমন দুৰ্গতি কখনোই হয় না । যে বলতে পেরেছে ‘বেদাহং’, ‘আমি জেনেছি, তাকে বেরিয়ে আসতেই হবে ; তাকে বলতেই হবে : শৃশ্বস্তু বিশ্বে অমৃতস্ত পুত্রাঃ । | এইরকম দৈন্যের নিবিড় অন্ধকারের মধ্যে সমস্ত দ্বার জানালা বন্ধ করে যখন ঘুমোচ্ছিলুম এমন সময় একটি ভোরের পাখির কণ্ঠ থেকে আমাদের রুদ্ধ ঘরের মধ্যে বিশ্বের নিত্যসংগীতের স্বর এসে পৌছল— যে স্বরে লোকলোকাস্তর যুগযুগান্তর স্বর মিলিয়েছে, যে স্বরে পৃথিবীর ধূলির সঙ্গে স্বর্য তারা একই আত্মীয়তার আনন্দে ঝংকৃত হয়েছে, সেই স্বর একদিন শোনা গেল । 1. আবার যেন কে বললে : বেদাহমেতং । আমি একে জেনেছি। কাকে জেনেছ ? আদিত্যবর্ণং– জ্যোতির্ময়কে জেনেছি র্যাকে কেউ