পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:) Séb- শাস্তিনিকেতন গোপন করতে পারে না। জ্যোতির্ময় ? কই তাকে তো আমার গৃহসামগ্রীর মধ্যে দেখছি নে। না, তোমার অন্ধকার দিয়ে ঢেকে তাকে তোমার ঘরের মধ্যে চাপা দিয়ে রাখ নি। তাকে দেখছি তমস: পরস্তাৎ’ —তোমাদের সমস্ত রুদ্ধ অন্ধকারের পরপার হতে। তুমি যাকে তোমার সম্প্রদায়ের মধ্যে ধরে রেখেছ, পাছে আর কেউ সেখানে প্রবেশ করে ব’লে মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছ, সে যে অন্ধকার। নিখিল মানব সেখান থেকে ফিরে ফিরে যায়, স্থৰ্য চন্দ্র সেখানে দৃষ্টিপাত করে না। সেখানে জ্ঞানের স্থানে শাস্ত্রের বাক্য, ভক্তির স্থানে পূজাপদ্ধতি, কর্মের স্থানে অভ্যস্ত আচার। সেখানে দ্বারে একজন ভয়ংকর না’ বসে আছে ; সে বলছে, ‘না না, এখানে না— দূরে যাও, দূরে যাও। সে বলছে, ‘কান বন্ধ করে। পাছে মন্ত্র কানে যায়, সরে বসে পাছে স্পর্শ লাগে, দরজা ঠেলে না পাছে তোমার দৃষ্টি পড়ে। এত না দিয়ে তুমি যাকে ঢেকে রেখেছ আমি সেই অন্ধকারের কথা বলছি নে । কিন্তু, বেদাহমেতং । আমি তাকে জেনেছি যিনি নিখিলের ; র্যাকে জানলে অার কাউকে ঠেকিয়ে রাখা যায় না, কাউকে ঘৃণা করা যায় না ; র্যাকে জানলে নিম্নদেশ যেমন জলসকলকে স্বভাবতই আহবান করে, সংবৎসর যেমন মাসসকলকে স্বভাবতই আহবান করে, তেমনি স্বভাবত সকলকেই অবাধে আহবান করবার অধিকার জন্মে, তাকেই জেনেছি। ঘরের লোক ক্রুদ্ধ হয়ে ভিতর থেকে গর্জন করে উঠল ; দূর করে, দূর করে, একে বের করে দাও । এ তো আমার ঘরের সামগ্রী নয়। এ তো আমার নিয়মকে মানবে না। না, এ তোমারই ঘরের না, এ তোমার নিয়মের বাধ্য নয়। কিন্তু, পারবে না— আকাশের আলোককে গায়ের জোর দিয়ে ঠেলে ফেলতে পারবে না। তার সঙ্গে বিরোধ করতে গেলেও তাকে স্বীকার করতে হবে । ཝུ་རྩrཅ এসেছে ।