পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবযুগের উৎসব بهد« প্রভাত এসেছে, আমাদের উৎসব এই কথা বলছে । আমাদের এই উৎসব ঘরের উৎসব নয়, ব্রাহ্মসমাজের উৎসব নয়, মানবের চিত্তগগনে যে প্রভাতের উদয় হচ্ছে এ যে সেই সুমহৎ প্রভাতের উৎসব । বহু যুগ পূর্বে এই প্রভাত-উৎসবের পবিত্র গম্ভীর মন্ত্র এই ভারতবর্ষের তপোবনে ধ্বনিত হয়েছিল— একমেবাদ্বিতীয়ম। অদ্বিতীয় এক । পৃথিবীর এই পূর্বদিগন্তে আবার কোন জাগ্রত মহাপুরুষ অন্ধকার রাত্রির পরপার হতে সেই মন্ত্র বহন করে এনে স্তব্ধ আকাশের মধ্যে স্পন্দন সঞ্চার করে দিলেন একমেবাদ্বিতীয়ম। অদ্বিতীয় এক । এই-যে প্রভাতের মন্ত্র উদয়শিখরের উপরে দাড়িয়ে জানিয়ে দিলে ষে, একস্থর্য উদয় হচ্ছেন, এবার ছোটো ছোটো অসংখ্য প্রদীপ নেবাও ! এই মন্ত্র কোনো-এক ঘরের মন্ত্র নয়, এই প্রভাত কোনো-একটি দেশের প্রভাত নয়— হে পশ্চিম, তুমিও শোনো, তুমি জাগ্রত হও । শৃশ্বস্তু বিশ্বে । হে বিশ্ববাসী, সকলে শোনো । পুর্বগগনের প্রান্তে একটি বাণী জেগে উঠেছে : বেদাহমেতং । আমি জানতে পারছি । তমস: পরস্তাৎ । অন্ধকারের পরপর থেকে আমি জানতে পারছি। নিশাবসানের আকাশ উদয়োম্মুখ আদিত্যের আসন্ন আবির্ভাবকে যেমন করে জানতে পারে তেমনি করে— i. 劇 বেদাহমেতং পুরুষং মহাস্তম্ আদিত্যবর্ণং তমস: পরস্তাং । এই নূতন যুগে পৃথিবীর মানবচিত্তে যে প্রভাত আসছে সেই নবপ্রভাতের বার্তা বাংলাদেশে আজ আশি বৎসর হল প্রথম এসে উপস্থিত হয়েছিল। তখন পৃথিবীতে দেশের সঙ্গে দেশের বিরোধ, ধর্মের সঙ্গে ধর্মের সংগ্রাম ; তখন শাস্ত্রবাক্য এবং বাহ প্রথার লৌহসিংহাসনে বিভাগই ছিল রাজা । সেই ভেদবুদ্ধির প্রাচীররুদ্ধ অন্ধকারের মধ্যে রাজা রামমোহন যখন অদ্বিতীয় একের আলোক তুলে ধরলেন তখন তিনি দেখতে পেলেন যে, যে ভারতবর্ষে হিন্দু মুসলমান ও খৃস্ট্রানধর্ম - š: