পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

› ዓ8 শাস্তিনিকেতন আনন্দকে আমরা মাঘোৎসবে জাগ্রত করছি । এই মহৎসত্যে আজ আমাদের উদবোধিত হতে হবে, বিধাতার এই মহতী কৃপার যে গম্ভীর দায়িত্ব তা আমাদের গ্রহণ করতে হবে। বুদ্ধিকে প্রশস্ত করে, হৃদয়কে প্রসারিত করে, নিজেকে দরিদ্র বলে জেনো না, দুর্বল বলে মেনে না। তপস্তায় প্রবৃত্ত হও, দুঃখকে বরণ করে, ক্ষুদ্র সমাজের মধ্যে আরাম ভোগ করবার জন্তে জ্ঞানকে মৃতপ্রায় এবং কর্মকে যন্ত্রবৎ কোরো না— সত্যকে সকলের উর্ধের্ব স্বীকার করে এবং ব্রহ্মের আনন্দে জীবনকে পরিপূর্ণ করে অভয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। হে জনগণের হৃদয়াসন-সন্নিবিষ্ট বিশ্বকর্ম, তুমি যে আজ আমাদের নিয়ে তোমার কোন মহৎকর্ম রচনা করছ, হে মহান আত্মা, তা এখনও আমরা সম্পূর্ণ বুঝতে পারি নি। তোমার ভগবৎশক্তি আমাদের বুদ্ধিকে কোনখানে স্পর্শ করেছে, সেখানে কোথায় তোমার স্বষ্টিলীলা চলছে, তা এখনও আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে নি। জগৎসংসারে আমাদের গৌরবান্বিত ভাগ্য যে কোন দিগন্তরালে আমাদের জন্যে প্রতীক্ষা করে আছে তা বুঝতে পারছি নে ব’লে আমাদের চেষ্টা ক্ষণে ক্ষণে বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ছে, আমাদের দৈন্তবুদ্ধি ঘুচছে না, আমাদের সত্য উজ্জ্বল হয়ে উঠছে না, আমাদের দুঃখ এবং ত্যাগ মহত্ব লাভ করছে না। সমস্তই ছোটো হয়ে পড়ছে, স্বাৰ্থ আরাম অভ্যাস এবং লোকভয়ের চেয়ে বড়ো কিছুকেই চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি নে। এ কথা বলবার বল পাচ্ছি নে যে, সমস্ত সংসার যদি আমার বিরুদ্ধ হয় তৰু আমার পক্ষে তুমি আছ, কেননা, তোমার সংকল্প অামাতে সিদ্ধ হচ্ছে, আমার মধ্যে তোমার জয় হবে। হে পরমাত্মন, এই আত্ম-অবিশ্বাসের আশাহীন অন্ধকার থেকে, এই জীবনযাত্রায় নাস্তিকতার নিদারুণ কর্তৃত্ব থেকে আমাদের উদ্ধার করে, উদ্ধার করে, আমাদের সচেতন করে। তোমার যে অভিপ্রায়কে আমরা বহন করছি তার মহত্ব উপলব্ধি করাও, তোমার