পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डांबूकठ ও পবিত্রতা ר רצ এ অনিষ্টকর হয়ে ওঠে। এই ভাবকেই লক্ষ্য বলে ভুল মাহুষ সহজেই করে, কারণ এর মধ্যে একটা নেশা আছে । ঈশ্বরের আরাধনা-উপাসনার মধ্যে দুটি পাবার পন্থা আছে। গাছ দু রকম করে খাদ্য সংগ্রহ করে। এক তার পল্লবগুলি দিয়ে বাতাস ও আলোক থেকে নিজের পুষ্টি গ্রহণ করে, আর-এক তার শিকড় থেকে সে নিজের খাদ্য আকর্ষণ করে নেয় । কখনো বৃষ্টি হচ্ছে, কখনো রৌদ্র উঠছে, কখনো শীতের বাতাস দিচ্ছে, কখনো বসন্তের হাওয়া বইছে— পল্লবগুলি চঞ্চল হয়ে উঠে তারই থেকে আপনার যা নেবার তা নিচ্ছে । তার পরে আবার শুকিয়ে ঝরে পড়ছে, আবার নতুন পাতা উঠছে। কিন্তু, শিকড়ের চাঞ্চল্য নেই। সে নিয়ত স্তব্ধ হয়ে, দৃঢ় হয়ে, গভীরতার মধ্যে নিজেকে বিকীর্ণ করে দিয়ে, নিয়ত আপনার খাদ্য নিজের একান্ত চেষ্টায় গ্রহণ করছে । আমাদেরও শিকড় এবং পল্লব এই দুটো দিক আছে। অামাদের আধ্যাত্মিক খাদ্য এই দুই দিক থেকেই নিতে হবে। শিকড়ের দিক থেকেই নেওয়া হচ্ছে প্রধান ব্যাপার। এইটিই হচ্ছে চরিত্রের দিক, এটা ভাবের দিক নয়। উপাসনার মধ্যে এই চরিত্র দিয়ে যা আমরা গ্রহণ করি তাই আমাদের প্রধান খাদ্য । সেখানে চাঞ্চল্য নেই, সেখানে বৈচিত্র্যের অন্বেষণ নেই– সেইখানেই আমরা শাস্ত হই, স্তব্ধ হই, ঈশ্বরের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হই । সেই জায়গাটির কাজ বড়ে অলক্ষ্য, বড়ো গভীর। সে ভিতরে ভিতরে শক্তি ও প্রাণ সঞ্চার করে, কিন্তু ভাবব্যক্তির দ্বারা নিজেকে প্রকাশ করে না । সে ধারণ করে, পোষণ করে এবং গোপনে থাকে । sł এই চরিত্র যে শক্তির দ্বারা প্রাণবিস্তার করে তাকে বলে নিষ্ঠ । সে অশ্রুপূর্ণ ভাবের আবেগ নয়, সে নিষ্ঠ। সে নড়তে চায় না, সে Տ Հ டி بتا ما با