পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্তর বাহির >b-> করি তা এক দিকে খরচ হয়ে অন্ত দিকে মঙ্গলে পূর্ণ হয়ে ওঠে, কিন্তু মানুষের কাছে যা ব্যয় করি তা কেবলমাত্রই খরচ । তাতে দেখতে পাই আমাদের গভীরতর চিত্ত কেবলই নিঃস্ব হতে থাকে, সে ভরে ওঠে না। তার শক্তি হ্রাস হয়, তার ক্লাস্তি আসে, অবসাদ আসে— নিজের রিক্ততা ও ব্যর্থতার ধিক্কারকে ভুলিয়ে রাখবার জন্যে কেবলই তাকে নূতন নূতন কৃত্রিমতা রচনা করে চলতে হয়— কোথাও থামতে গেলেই তার প্রাণ বেরিয়ে যায় । এইজন্যে যারা সাধক, পরমার্থ লাভের জন্যে নিজের শক্তিকে র্যাদের থাটানো অবিশু্যক, র্তারা অনেক সময়ে পাহাড়ে পর্বতে নির্জনে লোকালয় থেকে দূরে চলে যান। শক্তির নিরস্তর অজস্র অপব্যয়কে তার বাচাতে চান । I কিন্তু, বাইরে এই নির্জনতা, এই পর্বতগুহা কোথায় খুজে বেড়াব ? সে তো সব সময় জোটে না । এবং মানুষকে একেবারে ত্যাগ করে যাওয়াও তো মানুষের ধর্ম নয়। এই নির্জনতা, এই পর্বতগুহ, এই সমুদ্রতীর, আমাদের সঙ্গে সঙ্গেই আছে— আমাদের অস্তরের মধ্যেই আছে । যদি না থাকত তা হলে নির্জনতায় পর্বতগুহায় সমুদ্রতীরে তাকে পেতুম না। সেই অস্তরের নিভৃত আশ্রমের সঙ্গে আমাদের পরিচয়-সাধন করতে হবে । আমরা বাইরেকেই অত্যন্ত বেশি করে জানি, অস্তরের মধ্যে আমাদের যাতায়াত প্রায় নেই, সেইজন্যেই আমাদের জীবনের ওজন নষ্ট হয়ে গেছে। অর্থাৎ, আমরা নিজের সমস্ত শক্তিকে বাইরেই অহরহ এই-ষে নিঃশেষ করে ফতুর হয়ে যাচ্ছি— বাইরের সংস্রব পরিহার করাই তার প্রতিকার নয়, কারণ, মানুষকে ছেড়ে মাকুযকে চলে যেতে বলা রোগের চেয়ে চিকিৎসাকে গুরুতর করে তোলা। এর যথার্থ প্রতিকার হচ্ছে ভিতরের দিকেও আপনার প্রতিষ্ঠা লাভ ক’রে অন্তরে বাহিরে