পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉bペ শাস্তিনিকেতন নিজের সামঞ্জস্ত স্থাপন করা । তা হলেই জীবন সহজেই নিজেকে উন্মত্ত অপব্যয় থেকে রক্ষা করতে পারে । নইলে একদল ধর্মলুব্ধ লোককে দেখতে পাই, তারা নিজের কথাকে হাসিকে উদ্যমকে কেবলই মানদণ্ড হাতে করে হিসাবি কৃপণের মতে খর্ব করছে। তারা নিজের বরাদ্দ যতদূর কমানো সম্ভব তাই কমিয়ে নিজের মকুন্যত্বকে কেবলই শুষ্ক কৃশ আনন্দহীন করাকেই সিদ্ধির লক্ষণ বলে মনে করছে । কিন্তু, এমন করলে চলবে না। আর যাই হোক, মাহুষকে সম্পূর্ণ সহজ হতে হবে ; উদামভাবে বেহিসাবি হলেও চলবে না, কৃপণভাবে হিসাবি হলেও চলবে না । 嚇 এই মাঝখানের রাস্তায় দাড়াবার উপায় হচ্ছে, বাহিরের লোকালয়ের মধ্যে থেকেও অস্তরের নিভৃত নিকেতনের মধ্যে নিজের প্রতিষ্ঠা রক্ষা করা। বাহিরই আমাদের একমাত্র নয়— অস্তরেই আমাদের গোড়াকার আশ্রয় রয়েছে তা বারম্বার সকল আলাপের মধ্যে, আমোদের মধ্যে, কাজের মধ্যে অতুভব করতে হবে । সেই নিভৃত ভিতরের পথটিকে এমনি সরল করে তুলতে হবে যে, যখন-তখন ঘোরতর কাজকর্মের গোলযোগেও ধ করে সেইখানে একবার ঘুরে আসা কিছুই শক্ত হবে ब1 ।। সেই-ষে আমাদের ভিতরের মহলটি আমাদের জনতাপূর্ণ কলরবমুখর কাজের ক্ষেত্রের মাঝখানে একটি অবকাশকে সর্বদা ধারণ করে আছে, বেষ্টন করে আছে, এই অবকাশ তো কেবল শূন্যতা নয়। তা স্নেহে প্রেমে আনন্দে কল্যাণে পরিপূর্ণ। সেই অবকাশটিই হচ্ছেন তিনি র্যার স্বারা উপনিষৎ জগতের সমস্ত-কিছুকেই আচ্ছন্ন দেখতে বলেছেন : ঈশাবাস্তমিদং সৰ্বং যৎ কিঞ্চ জগত্যাং জগৎ । সমস্ত কাজকে বেষ্টন করে, সমস্ত মানুষকে বেষ্টন করে সর্বত্রই সেই পরিপূর্ণ অবকাশটি