পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্তর বাহির >b● আছেন ; তিনিই পরস্পরের যোগ-সাধন করছেন এবং পরম্পরের সংঘাত নিবারণ করছেন। সেই তাকেই নিভৃত চিত্তের মধ্যে নির্জন অবকাশ-রূপে নিরস্তর উপলব্ধি করবার অভ্যাস করে, শাস্তিতে মঙ্গলে ও প্রেমে নিবিড়ভাবে পরিপূর্ণ অবকাশরূপে তাকে হৃদয়ের মধ্যে সর্বদাই জানো । যখন হাসছ, খেলছ, কাজ করছ, তখনও একবার সেখানে যেতে যেন কোনো বাধা না থাকে— বাহিরের দিকেই একেবারে কাত হয়ে উণ্টে পড়ে তোমার সমস্ত-কিছুকেই নিঃশেষ করে ঢেলে দিয়ে না। অন্তরের মধ্যে সেই প্রগাঢ় অমৃতময় অবকাশকে উপলব্ধি করতে থাকলে তবেই সংসার আর সংকটময় হয়ে উঠবে না, বিষয়ের বিষ আর জমে উঠতে পারবে না— বায়ু দূষিত হবে না, আলোক মলিন হবে না, তাপে সমস্ত মন তপ্ত হয়ে উঠবে না।– ভাবে তারে অস্তরে যে বিরাজে, অন্য কথা ছাড়ো না । ংসার সংকটে ত্রাণ নাহি কোনোমতে বিনা র্তার সাধন । তীর্থ আজ আবার বলছি : ভাবো তারে অস্তরে যে বিরাজে ! এই কথা যে প্রতিদিন বলার প্রয়োজন আছে। অামাদের অন্তরের মধ্যেই যে আমাদের চির-আশয় আছেন এ কথা বলার প্রয়োজন কবে শেষ হবে ? কথা পুরাতন হয়ে মান হয়ে আসে, তার ভিতরকার অর্থ ক্রমে আমাদের কাছে জীর্ণ হয়ে ওঠে ; তখন তাকে আমরা অনাবশুক বলে পরিহার করি।