পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A শাস্তিনিকেতন و& br< ভাবে তারে অস্তরে যে বিরাজে, অন্ত কথা ছাড়ো না । ংসারসংকটে ত্রাণ নাহি কোনোমতে বিনা র্তার সাধন । কেননা, সংসারকে একমাত্র জানলেই সংসার সংকটময় হয়ে ওঠে – তখনই সে অরাজ অনাথকে পেয়ে বসে, তার সর্বনাশ করে ছাড়ে । প্রতিদিন এসো, অস্তরে এসো। সেখানে সব কোলাহল নিরস্ত হোক, কোনো আঘাত না পৌছোক, কোনো মলিনতা না স্পশ করুক। সেখানে ক্রোধকে পালন কোরো না, ক্ষোভকে প্রশ্রয় দিয়ে না, বাসনাগুলিকে হাওয়া দিয়ে জালিয়ে রেখে না— কেননা, সেইখানেই তোমার তীর্থ, তোমার দেবমন্দির। সেখানে যদি একটু নিরালা না থাকে তবে জগতে কোথাও নিরাল পাবে না, সেখানে যদি কলুষ পোষণ কর তবে জগতে তোমার সমস্ত পুণ্যস্থানের ফটক বন্ধ। এসে সেই অক্ষুব্ধ নির্মল অস্তরের মধ্যে এসো, সেই অনন্তের সিন্ধুতীরে এসো, সেই অত্যুচ্চের গিরিশিখরে এসো। সেখানে করজোড়ে দাড়াও । সেখানে নত হয়ে নমস্কার করে। সেই সিন্ধুর উদার জলরাশি থেকে, সেই গিরিশৃঙ্গের নিত্যবহমান নিঝরধারা থেকে পুণ্যসলিল প্রতিদিন উপাসনান্তে বহন করে নিয়ে তোমার বাহিরের সংসারের উপর ছিটিয়ে দাও ; সব পাপ যাবে, সব দাহ দূর হবে। 8 कोहुने বিভাগ ভিতরের সঙ্গে বাহিরের যে-একটি সুনির্দিষ্ট বিভাগ থাকলে আমাদের জীবন স্থবিহিত স্থপৃঙ্খল স্বসম্পূর্ণ হয়ে ওঠে সেইটে আমাদের ঘটে নি।