পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভাগ >b? দেয় না। এইজন্তে বাইরে যথাস্থানে যার একটি যাথার্থ্য আছে অস্তরের মধ্যে সে পাপরূপে স্থায়ী হয়ে বসে। বাইরে যে জিনিসটা অল্পসংগ্রহ-চেষ্টা-রূপে প্রাণ রক্ষা করবার উপায়, তাকেই যদি ভিতরে টেনে নিয়ে সঞ্চিত কর তবে সেইটেই তৃপ্তিহীন ঔদরিকতার নিত্যমূর্তি ধারণ করে স্বাস্থ্যকে নষ্ট করতেই থাকে। তাই দেখতে পাচ্ছি, আমাদের মধ্যে এই নিত্যের নিকেতন, পুণ্যের নিকেতন আছে ব’লেই আমাদের মধ্যে পাপের স্থান আছে। যা অনিত্য, বিশেষ সাময়িক প্রয়োজনে বিশেষ স্থানে যার প্রয়োগ এবং তার পরে যার শান্তি, তাকেই আমাদের অন্তরের নিত্যনিকেতনে নিয়ে বধিয়ে রাখা এবং প্রত্যহই তার অনাবস্তুক খাদ্য জোগানোর জন্তে ঘুরে মরা, এইটেই হচ্ছে পাপ । পুরাণে বলেছে, অমৃত দেবতারই ভোগ্য, তা দৈত্যের খাদ্য নয়। যে দৈত্য চুরি করে সেই অমৃত পান করেছিল তারই মাথাটা রাহু এবং লেজটা কেতু -আকারে বৃথা বেঁচে থেকে নিদারুণ অমঙ্গল-রূপে সমস্ত জগৎকে দুঃখ দিচ্ছে। আমাদের যে অন্তর-ভাণ্ডার দেবভোগ্য অমৃতের পাত্র রক্ষা করবার আগার সেইখানে যদি দৈত্যকে গোপনে প্রবেশ করবার অধিকার দিই, তবে সে চুরি করে অমৃত পান করে অমর হয়ে ওঠে। তার পর থেকে প্রতিদিন সেই বিকট অমঙ্গলটার খোরাক জোগাতে আমাদের স্বাস্থ্য মুখ সম্বল সংগতি নিঃশেষ হয়ে যায়। অমৃতের ভাণ্ডার অাছে বলেই আমাদের এই দুৰ্গতি । 轉 এই অমৃতের নিত্যনিকেতনে দৈত্যের কোনো অধিকার নেই বটে, কিন্তু বাহিরে কর্মের ক্ষেত্রে তার প্রয়োজন যথেষ্ট। সে জ্বৰ্গম পথে ভার বহন করতে পারে, সে পর্বত বিদীর্ণ করে পথ করে দিতে পারে । তাকে দাসের বেতন যদি দাও তবে সে প্রভুর কাজ উদ্ধার করে দিয়ে