পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

韓 শাস্তিনিকেতন ۰ هد কৃতাৰ্থ হয়। কিন্তু, অমৃত তো দাসের বেতন নয়, সে যে দেবতার পূজার ভোগসামগ্রী। তাকে অপাত্রে উৎসর্গ করাই পাপ । যাকে যথাকালে বাইরে থেকে মরতে দেওয়াই উচিত তাকে ভিতরে নিয়ে গিয়ে বঁচিয়ে রাখলেই নিজের হাতে পাপকে স্বষ্টি করা হয় । তাই বলছিলুম, যেটা বাইরের সেটাকে বাইরে রাখবার সাধনাই জীবনযাত্রার সাধন । ও ফাল্গুন ১৩১৫ দ্রষ্টা অন্তরকে বাইরের আক্রমণ থেকে বাচাও। দুইকে মিশিয়ে এক করে দেখো না। সমস্তটাকেই কেবলমাত্র সংসারের অন্তর্গত করে জেনো না । তা যদি কর তবে সংসারসংকট থেকে উদ্ধার পাবার কোনো রাস্তা খুজে পাবে না । থেকে থেকে ঘোরতর কর্মসংঘাতের মাঝখানেই নিজের অন্তরকে নির্লিপ্ত বলে অনুভব কোরো। এইরকম ক্ষণে ক্ষণে বারম্বার উপলব্ধি করতে হবে। খুব কোলাহলের ভিতরে থেকে একবার চকিতের মতো দেখে নিতে হবে, সেই অস্তরের মধ্যে কোনো কোলাহল পেচচ্ছে না । সেখানে শাস্ত, স্তব্ধ, নির্মল । না, কোনোমতেই সেখানে বাহিরের কোনো চাঞ্চল্যকে প্রবেশ করতে দেব না। এই-যে আনাগোনা লোকলৌকিকতা হাসিখেলার মহা জনতা, এর মধ্যে বিদ্যুদবেগে একবার অস্তরের অস্তরে ঘুরে এসো— দেখে এসে সেখানে নিবাতনিষ্কম্প প্রদীপটি জলছে, অমৃত্তরঙ্গ সমূদ্র আপন অতলম্পর্শ গভীরতায় স্থির হয়ে রয়েছে, শোকের ক্ৰন্দন সেখানে পৌছোয় না, ক্রোধের গর্জন সেখানে ोख्नु । 曾 * .