পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छठे 〉?〉 এই বিশ্বসংসারে এমন কিছুই নেই, একটি কণাও নেই, যার মধ্যে পরমাত্মা ওতপ্রোত হয়ে না রয়েছেন ; কিন্তু তৰু তিনি দ্রষ্টা, কিছুর দ্বারা তিনি অধিকৃত নন। এই জগৎ তারই বটে, এর সর্বত্রই আছেন বটে, কিন্তু তবু তিনি এর অতীত হয়ে আছেন। আমাদের অন্তরাত্মাকেও সেই রকম করেই জানবে— সংসার র্তার, শরীর তার, বুদ্ধি তার, হৃদয় তার। এই সংসারে শরীরে বুদ্ধিতে হৃদয়ে তিনি পরিব্যাপ্ত হয়েই আছেন, কিন্তু তবু আমাদের অস্তরাত্মা এই সংসার শরীর বুদ্ধি ও হৃদয়ের অতীত। তিনি দ্রষ্ট। এই-ষে আমি সংসারে জন্মলাভ ক’রে বিশেষ নাম ধ’রে নানা মুখ দুঃখ ভোগ করছে, এই তার বহিরংশকে তিনি সাক্ষীরূপেই দেখে যাচ্ছেন। আমরা যখন আত্মবিং হই, এই অন্তরাত্মাকে যখন সম্পূর্ণ উপলব্ধি করি, তখন আমরা নিজের নিত্য স্বরূপকে নিশ্চয় জেনে সমস্ত মুখদুঃখের মধ্যে থেকেও স্বখদুঃখের অতীত হয়ে যাই, নিজের জীবনকে সংসারকে দ্রষ্টারূপে জানি । এমনি ক’রে সমস্ত কর্ম থেকে, সংসার থেকে, সমস্ত ক্ষোভ থেকে, বিবিভক্ত ক’রে আত্মাকে যখন বিশুদ্ধ স্বরূপে জানি তখন দেখতে পাই তা শূন্ত নয় ; তখন নিজের অন্তরে সেই নির্মল নিন্তব্ধ পরম ব্যোমকে, সেই চিদাকাশকে দেখি যেখানে ‘সত্যং জ্ঞানমনস্তং ব্রহ্ম নিহিতং গুহায়াম । নিজের মধ্যে সেই আশ্চর্য জ্যোতির্ময় পরম কোষকে জানতে পারি যেখানে সেই অতি শুভ্ৰ জ্যোতির জ্যোতি বিরাজমান। এইজন্যই উপনিষৎ বারম্বার বলেছেন, অন্তরাত্মাকে জানো, তা হলেই অমৃতকে জানবে, তা হলেই পরমকে জানবে। তা হলে সমস্তের মাঝখানে থেকেই, সকলের মধ্যে প্রবেশ ক’রেই, কিছু পরিত্যাগ না করে মুক্তি পাবে। নান্যঃ পন্থা বিদ্যতে অয়নায়। ७ कॉरून