পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২ নিত্যধাম উপনিষৎ বলেছেন— আনন্দং ব্রহ্মণো বিদ্বান ন বিভেতি কদাচন। ব্রহ্মের আনন্দ যিনি জেনেছেন তিনি কদাচই ভয় পান না। সেই ব্রহ্মের আনন্দকে কোথায় দেখব ? তাকে জানব কোনখানে ? অন্তরাত্মার মধ্যে । আত্মাকে একবার অস্তরনিকেতনে, তার নিত্যনিকেতনে দেখো— যেখানে আত্মা বাহিরের হর্ষশোকের অতীত, সংসারের সমস্ত চাঞ্চল্যের অতীত, সেই নিভৃত অন্তরতম গুহার মধ্যে প্রবেশ করে দেখো— দেখতে পাবে আত্মার মধ্যে পরমাত্মার আনন্দ নিশিদিন আবির্ভূত হয়ে রয়েছে, এক মুহূর্ত তার বিরাম নেই। পরমাত্মা এই জীবাত্মায় আনন্দিত। যেখানে সেই প্রেমের নিরস্তর মিলন সেইখানে প্রবেশ করো, সেইখানে তাকাও । তা হলেই ব্রহ্মের আনন্দ যে কী তা নিজের অন্তরের মধ্যেই উপলব্ধি করবে, এবং তা হলেই কোনোদিন কিছু হতেই তোমার আর ভয় থাকবে না । ভয় তোমার কোথায় ? যেখানে আধিব্যাধি জরামৃত্যু বিচ্ছেদমিলন, যেখানে আনাগোনা, যেখানে সুখদুঃখ । আত্মাকে কেবলই যদি সেই বাহিরের সংসারেই দেখ— যদি তাকে কেবলই কার্য থেকে কার্যাস্তরে, বিষয় থেকে বিষয়াস্তরেই উপলব্ধি করতে থাক— তাকে বিচিত্রের সঙ্গে, চঞ্চলের সঙ্গেই, একেবারে জড়িত মিশ্রিত ক’রে, এক ক’রে জান— তা হলেই তাকে নিতান্ত দীন ক’রে মলিন ক’রে দেখবে, তা হলেই তাকে মৃত্যুর দ্বারা বেষ্টিত দেখে কেবলই শোক করতে থাকবে ; যা সত্য নয়, স্থায়ী নয়, তাকেই আত্মার সঙ্গে জড়িত ক’রে সত্য ব’লে স্থায়ী ব’লে ভ্রম করবে, এবং শেষকালে সেসমস্ত যখন