পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিত্যধাম ఫెర్రీ সংসারের নিয়মে খসে পড়তে থাকবে তখন মনে হবে যেন আত্মারই ক্ষয় হচ্ছে, বিনাশ হচ্ছে। এমনি করে বারম্বার শোকে নৈরাস্তে দগ্ধ হতে থাকবে। সংসারকেই তুমি ইচ্ছা করে বড়ো পদ দেওয়াতে সংসার তোমার দত্ত সেই জোরে তোমার আত্মাকে পদে পদে অভিভূত পরাস্ত ক’রে দেবে। কিন্তু, আত্মাকে অন্তরধামে নিত্যের মধ্যে, ব্রন্ধের মধ্যে দেখে ; তা হলেই হৰ্ষশোকের সমস্ত জোর চলে যাবে। তা হলে ক্ষতিতে নিন্দাতে পীড়াতে মৃত্যুতে কিসেই বা ভয় ? জয়ী, আত্মা জয়ী । আত্মা ক্ষণিক সংসারের দাসাচুদাস নয়, আত্মা অনস্তে অমরতীয় প্রতিষ্ঠিত। আত্মায় ব্রহ্মের আনন্দ আবির্ভূত। সেইজন্ত আত্মাকে যারা সত্যরূপে জানেন র্তারা ব্রহ্মের আনন্দকে জানেন এবং ব্রহ্মের আনন্দকে যারা জানেন র্তারা ‘ন বিভেতি কদাচন । পরমে ব্রহ্মণি যোজিতচিত্তঃ নন্দতি নন্দতি নন্দত্যেব । পরমব্রহ্মের মধ্যে যারা আপনাকে মুক্ত করে দেখেছেন তারা নন্দিত হন, নন্দিত হন, নন্দিতই হন ।* আর, সংসারে যারা নিজেকে যুক্ত করে জানেন র্তারা ‘শোচতি শোচতি শোচত্যেব’ । ৭ ফাঙ্কন ১৩১৫ পরিণয় চারি দিকে সংসারে আমরা দেখছি : স্বষ্টিব্যাপার চলছেই। ষা ব্যাপ্ত তা সংহত হচ্ছে, যা সংহত তা ব্যাপ্ত হচ্ছে। আঘাত হতে প্রতিঘাত, রূপ হতে রূপান্তর চলেইছে— এক মুহূর্ত তার কোথাও বিরাম নেই। সকল জিনিসই পরিণতির পথে চলেছে, কিন্তু কোনো >\○