পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

వెఱ শান্তিনিকেতন আছে। আমরা যেমন-যেমন বুদ্ধিতে হৃদয়ে উপলব্ধি করছি তেমনিতেমনি তাকে পাচ্ছি —এ হতেই পারে না। অর্থাৎ, যেটা ছিল না সেইটেকে আমরা গড়ে তুলছি, তার সঙ্গে সম্বন্ধটা আমাদের নিজের এই ক্ষুত্র হৃদয় ও বুদ্ধির দ্বারা স্বষ্টি করছি –এ ঠিক নয়। এই সম্বন্ধ যদি আমাদেরই দ্বারা গড়া হয় তবে তার উপরে আস্থা রাখা চলে না, তবে সে আমাদের আশ্রয় দিতে পারবে না। আমাদের মধ্যেই একটি নিত্যধাম আছে। সেখানে দেশকালের রাজত্ব নয়, সেখানে ক্রমশস্বাক্টর পালা নেই। সেই অন্তরাত্মার নিত্যধামে পরমাত্মার পূর্ণ আবির্ভাব পরিসমাপ্ত হয়েই আছে। তাই উপনিষৎ বলছেন— সত্যংজ্ঞানমনস্তং ব্রহ্ম যো বেদ নিহিতং গুহায়াং পরমে ব্যোমন সোহশ্ন তে সর্বান কামান সহ ব্রহ্মণ বিপশ্চিত । সকলের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ব্যোম যে পরম ব্যোম, যে চিদাকাশ, অন্তরাকাশ, সেইখানে আত্মার মধ্যে যিনি সত্য জ্ঞান ও অনন্ত-স্বরূপ পরব্রহ্মকে গভীরভাবে অবস্থিত জানেন তার সমস্ত বাসনা পরিপূর্ণ হয়। ব্ৰহ্ম কোনো-একটি অনির্দেশু অনস্তের মধ্যে পরিপূর্ণ হয়ে আছেন, এ কথা বলবার কোনো মানে নেই। তিনি আমাদেরই অন্তরাকাশে, আমাদেরই অন্তরাত্মায় ‘সত্যংজ্ঞানমনস্তম্’ রূপে স্বগভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত আছেন, এইটি ঠিকমত জানলে বাসনায় আমাদের আর বৃথা ঘুরিয়ে মারে না, পরিপূর্ণতার উপলব্ধিতে আমরা স্থির হতে পারি। সংসার আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু ব্ৰহ্ম আমাদের মধ্যেই আছেন। এইজন্য সংসারকে সহস্ৰ চেষ্টায় আমরা পাই নে, ব্রহ্মকে আমরা পেয়ে বসে আছি। =چ পরমাত্মা আমাদের আত্মাকে বরণ করে নিয়েছেন ; র্তণর সঙ্গে ।