পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

i \9 | তিনতলা আমাদের তিনটে অবস্থা দেখতে পাই । তিনটে বড়ো বড়ো স্তরে মানবজীবন গড়ে তুলছে— একটা প্রাকৃতিক, একটা ধৰ্মনৈতিক, একটা আধ্যাত্মিক । প্রথম অবস্থায় প্রকৃতিই আমাদের সব । তখন আমরা বাইরেই থাকি । তখন প্রকৃতিই আমাদের সমস্ত উপলব্ধির ক্ষেত্র হয়ে দাড়ায় । তখন বাইরের দিকেই আমাদের সমুদয় প্রবৃত্তি, সমুদয় চিন্তা, সমুদয় প্রয়াস। এমন-কি, আমাদের মনের মধ্যে যা গড়ে ওঠে তাকেও আমরা বাইরে স্থাপন না করে থাকতে পারি না ; আমাদের মনের জিনিসগুলিও আমাদের কল্পনায় বাহ রূপ গ্রহণ করতে থাকে। আমরা সত্য তাকেই বলি যাকে দেখতে ছুতে পাওয়া যায়। এইজন্য আমাদের দেবতাকেও কোনো বাহ পদার্থের মধ্যে বদ্ধ ক’রে অথবা তাকে কোনো বাহ্য রূপ দান ক’রে আমরা তাকে প্রাকৃতিক বিষয়েরই শামিল করে দিই। বাহিরের এই দেবতাকে আমরা বাহ প্রক্রিয়া -দ্বারা শাস্ত করবার চেষ্টা করি। র্তার সম্মুখে বলি দিই, খাদ্য দিই, তাকে কাপড় পরাই। তখন দেবতার অনুশাসনগুলিও বাহ অস্থশাসন। কোন নদীতে স্নান করলে পুণ্য, কোন খাদ্য আহার করলে পাপ, কোন দিকে মাথা রেখে শুতে হবে, কোন মন্ত্র কিরকম নিয়মে কোন তিথিতে কোন দণ্ডে উচ্চারণ করা আবশ্বক —এই-সমস্তই তখন ধর্মাহুষ্ঠান । । এমনি করে দৃষ্টি ভ্রাণ স্পর্শদি -দ্বারা, মনের দ্বার, কল্পনার দ্বারা,