পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিনতলা ૨ e છે - পরিয়ে দিলুম। মুখদুঃখকে কড়া পাহারায় রাখলুম। পূর্বতন আগাগোড়া বিপর্যন্ত করে তবে ছাড়লুম। o এমনি করে বাহিরের একান্ত প্রভূত্বকে খর্ব করে যখন আমাদের অস্তরে প্রতিষ্ঠা লাভ করলুম তখন অন্তরতম গুহার মধ্যে এ কী দেখি ? এ তো জয়গর্ব নয়। এ তো কেবল আত্মশাসনের অতিবিস্তারিত স্বব্যবস্থা নয়। বাহিরের বন্ধনের স্থানে এ তে কেবল অস্তরের নিয়মবন্ধন নয়। শাস্ত দাস্ত সমাহিত নির্মল চিদাকাশে এমন আনন্দজ্যোতি দেখলুম যা অন্তর এবং বাহির উভয়কেই উদ্ভাসিত করেছে, অস্তরের নিগুঢ় কেন্দ্র থেকে নিখিল বিশ্বের অভিমুখে যার মঙ্গলরশ্মিরাজি বিচ্ছুরিত হচ্ছে। তখন ভিতর বাহিরের সমস্ত দ্বন্দ্ব দূর হয়ে গেল। তখন জয় নয়, তখন আনন্দ ; তখন সংগ্রাম নয়, তখন লীলা ; তখন ভেদ নয়, তখন মিলন ; তখন আমি নয়, তখন সব ; তখন বাহিরও নয়, ভিতরও নয়, তখন ব্ৰহ্ম : তচ্ছভং জ্যোতিষাং জ্যোতিঃ । তখন আত্মা পরমাত্মার পরম মিলনে বিশ্বজগৎ সম্মিলিত । তখন স্বার্থবিহীন করুণা, ঔদ্ধত্যবিহীন ক্ষমা, অহংকারবিহীন প্রেম ; তখন জ্ঞান ভক্তি কর্মে বিচ্ছেদবিহীন পরিপূর্ণত। S० योग्नुन S७84 বাসনা ইচ্ছা মঙ্গল আমাদের সমস্ত কর্মচেষ্টাকে উদবোধিত করে তোলবার ভার সবপ্রথমে বাহিরের উপরেই ন্যস্ত থাকে। সে আমাদের নানা দিক দিয়ে নানা প্রকারে সজাগ চঞ্চল করে তোলে। সে আমাদের জাগাবে, অভিভূত করবে না, এই ছিল কথা। জাগৰ এইজন্যে যে নিজের চৈতন্যময় কর্তৃত্বকে অনুভব করব, দাসত্বের বোঝা বহন করব বলে নয়। **