পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

있e8 শান্তিনিকেতন তা ছাড়া আর-একটা জিনিস দেখতে পাই । যখন বাসনার অল্পগামী হয়ে বাহিরের সহস্র রাজাকে প্রভু করেছিলুম তখন যে ८वख्र्म মিলত তাতে তো পেট ভরত না। সেইজন্যেই মাকুব বারম্বার আক্ষেপ করে বলেছে, বাসনার চাকরি বড়ো দুঃখের চাকরি। এতে যে খাদ্য পাই তাতে ক্ষুধা কেবল বাড়িয়ে তোলে এবং সহস্ত্রের টানে ঘুরিয়ে মেরে কোনো জায়গায় শান্তি পেতে দেয় না। আবার ইচ্ছার অনুগত হয়ে ভিতরের এক-একটি অভিপ্রায়ের পশ্চাতে যখন ঘুরে বেড়াই তখনও তো অনেক সময়ে মেকি টাকায় বেতন মেলে। শ্রাস্তি আসে, অবসাদ আসে, দ্বিধা আসে। কেবলই উত্তেজনার মদিরার প্রয়োজন হয়, শাস্তিরও অভাব ঘটে। বাসন যেমন বাহিরের ধন্দায় ঘোরায়, ইচ্ছা তেমনি ভিতরের ধন্দায় ঘুরিয়ে মারে এবং শেষকালে মজুরি দেবার বেলায় ফাকি দিয়ে সারে। এইজন্য, বাসনাগুলোকে ইচ্ছার শাসনাধীনে ঐক্যবদ্ধ করা যেমন মানুষের ভিতরকার কামনা, সেরকম না করতে পারলে সে যেমন কোনো সফলতা দেখতে পায় না, তেমনি ইচ্ছাগুলিকেও কোনো-এক প্রভুর অনুগত করা তার মূলগত প্রার্থনার বিষয়। এ না হলে সে বঁাচে না। বাহিরের শক্রকে জয় করবার জন্যে ভিতরের যে সৈন্যদল সে জড়ো করলে নায়কের অভাবে সেই দুর্দশস্ত সৈন্তগুলার হাতেই সে মারা পড়বার জো হয়। সৈন্তানায়ক রাজ্য দস্থ্যবিজিত রাজ্যের চেয়ে ভালো বটে, কিন্তু সেও মুখের রাজ্য নয়। তামসিকতায় প্রবৃত্তির প্রাধান্ত, রাজসিকতায় শক্তির প্রাধান্ত । এখানে সৈন্তের রাজত্ব। কিন্তু, রাজার রাজত্ব চাই। সেই সরাজকতার পরম কল্যাণ কখন উপভোগ করি ? যখন বিশ্ব-ইচ্ছার সঙ্গে নিজের সমস্ত ইচ্ছাকে সংগত করি । সেই ইচ্ছাই জগতের এক ইচ্ছা, মঙ্গল-ইচ্ছা । সে কেবল আমার