পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাভাবিকী ক্রিয়। Re ^ দেওয়া গেল। কিন্তু, কার সাধ্য নেবায় ! ভগবান যিশু তার ইচ্ছাকে র্তার পিতার ইচ্ছার সঙ্গে যে মিলিয়ে দিয়েছিলেন— সেই ইচ্ছার মৃত্যু নেই, তার স্বাভাবিকী ক্রিয়ার ক্ষয় নেই। অত্যন্ত কৃশ এবং দীন -ভাবে যা নিজেকে প্রকাশ করেছিল তাই আজ দুই সহস্ৰ বৎসর ধরে বিশ্বজয় করছে। অখ্যাত অজ্ঞাত দৈন্যদারিদ্র্যের মধ্যেই সেই পরমমঙ্গলশক্তি যে আপনার স্বাভাবিকী জ্ঞানবলক্রিয়াকে প্রকাশ করেছেন ইতিহাসে বারম্বার তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। হে অবিশ্বাসী, হে ভীরু, হে দুর্বল, সেই শক্তিকে আশ্রয় করে, সেই ক্রিয়াকে লাভ করো— নিজেকে শক্তিহীন বলে বাইরের দিকে ভিক্ষণপাত্র তুলে ধরে বৃথা আক্ষেপে কাল হরণ কোরে না— তোমার সামান্য যা সম্বল আছে তা রাজার ঐশ্বর্যকে লজ্জা দেবে। ১১ ফাঙ্কন পরশরতন তার নাম পরশরতন পাপীহদয়তাপহরণ— প্রসাদ তার শাস্তিরূপ ভকতহদয়ে জাগে ! সেই পরশরতনটি প্রাতঃকালের এই উপাসনায় কি আমরা লাভ করি? যদি তার একটি কণামাত্রও লাভ করি তবে কেবল মনের মধ্যে একটি ভাবরসের উপলব্ধির মধ্যেই তাকে আবদ্ধ করে যেন না রাখি । তাকে স্পর্শ করাতে হবে, তার স্পর্শে আমার সমস্ত দিনটিকে সোনা করে তুলতে হবে। i দিনের মধ্যে ক্ষণে ক্ষণে সেই পরশরতনটি দিয়ে আমার মুখের