পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরশরক্তন & e? আসে, সেই শুষ্কতা ও জড়ত্বের আবেশ-কালে তুচ্ছতার আক্রমণকে আমরা যেন প্রশ্রয় না দিই— আত্মার মহিমাকে তখনও যেন প্রত্যক্ষগোচর করে রাখি । যেন তখনই মনে পড়ে আমরা দাড়িয়ে আছি ‘ভুর্ভুব:স্বলোকে’, মনে পড়ে যে অনন্ত চৈতন্যস্বরূপ এই মুহূর্তে আমাদের অস্তরে চৈতন্য বিকীর্ণ করছেন, মনে পড়ে যে সেই ‘শুদ্ধং অপাপবিদ্ধং এই মুহূর্তে আমাদের হৃদয়ের মধ্যে অধিষ্ঠিত হয়ে আছেন। সমস্ত হাস্তালাপ, সমস্ত কাজকর্ম, সমস্ত চাঞ্চল্যের অন্তরতম মূলে যেন একটি অবিচলিত পরিপূর্ণতার উপলব্ধি কখনো না সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তাই বলে এ কথা যেন কেউ না মনে করেন যে, সংসারের সমস্ত হাসিগল্প, সমস্ত আমোদ-আহলাদকে একেবারে বিসর্জন দেওয়াই সাধনা। যার সঙ্গে আমাদের যেটুকু স্বাভাবিক সম্বন্ধ আছে তাকে রক্ষা না করলেই সে আমাদের অস্বাভাবিক রকম ক’রে পেয়ে বসে— ত্যাগ করবার কৃত্রিম চেষ্টাতেই ফাস আরো বেশি করে আট হয়ে ওঠে । স্বভাবত যে জিনিসটা বাইরের ক্ষণিক জিনিস, ত্যাগের চেষ্টায় অনেকসময় সেইটাই আমাদের অস্তরের ধ্যানের সামগ্রী হয়ে দাড়ায় । ত্যাগ করব না, রক্ষা করব ; কিন্তু, ঠিক জায়গায় রক্ষা করব । ছোটোকে বড়ো করে তুলব না, শ্রেয়কে প্রেয়ের আসনে বসতে দেব না এবং সকল সময়ে সকল কর্মেই অস্তরের গৃঢ় কক্ষের অচল দরবারে উপাসনাকে চলতে দেব। তিনি নেই এমন কথাটাকে কোনো সময়েই কোনো মতেই মনকে বুঝতে দেব না— কেননা সেটা একেবারেই মিথ্যা কথা । প্রভাতে একান্ত ভক্তিতে র্তার চরণের ধূলি মনের ভিতরে তুলে নিয়ে যাও— সেই আমাদের পরশরতন। আমাদের হাসিখেল, আমাদের কাজকর্ম, আমাদের বিষয়-আশয়, যা-কিছু আছে তার উপর সেই ভক্তি ঠেকিয়ে দাও। আপনিই সমস্ত বড়ো হয়ে উঠবে, সমস্ত পবিত্র S 8 $