পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S S o শান্তিনিকেতন do হয়ে উঠবে, সমস্তই তার সম্মুখে উৎসর্গ করে দেবার যোগ্য হয়ে দাড়াবে। २२ युगंख्न অভ্যাস যিনি পরম চৈতন্যস্বরূপ র্তাকে আমরা নির্মল চৈতন্তের দ্বারাই অস্তরাত্মার মধ্যে উপলব্ধি করব এই রয়েছে কথা । তিনি আর কোনো রকমে সস্তায় আমাদের কাছে ধরা দেবেন না— এতে যতই বিলম্ব হোক। সেইজন্যেই তার দেখা দেওয়ার অপেক্ষায় কোনো কাজ বাকি নেই— আমাদের আহার ব্যবহার প্রাণন মনন সমস্তই চলছে। আমাদের জীবনের যে বিকাশ তার দর্শনে গিয়ে পরিসমাপ্ত, সে ধীরে ধীরে হোক, বিলম্বে হোক, সেজন্যে তিনি কোনো অস্ত্রধারী পেয়াদাকে দিয়ে তাগিদ পাঠাচ্ছেন না। সেটি একটি পরিপূর্ণ সামগ্রী কিনা, অনেক রৌদ্রবৃষ্টির পরম্পরায়, অনেক দিন ও রাত্রির শুশ্রুষায় তার হাজারটি দল একটি বৃন্তে ফুটে উঠবে। সেইজন্তে মাঝে মাঝে আমার মনে এই সংশয়টি আসে যে, এই-যে আমরা প্রাতঃকালে উপাসনার জন্যে অনেকে সমবেত হয়েছি, এখানে আমরা অনেক সময়েই অনেকেই আমাদের সম্পূর্ণ চিত্তটিকে তো আনতে পারি নে— তবে এ কাজটি কি আমাদের ভালো হচ্ছে ? নির্মল চৈতন্তের স্থানে অচেতনপ্রায় অভ্যাসকে নিযুক্ত করায় আমরা কি অন্যায় করছি নে ? আমার মনে এক-এক সময় অত্যন্ত সংকোচ বোধ হয় । মনে ভাবি, যিনি আপনাকে প্রকাশ করবার জন্যে আমাদের ইচ্ছার উপর কিছুমাত্র জবৰ্দ্দস্তি করেন না তার উপাসনায় পাছে আমরা লেশমাত্র অনিচ্ছাকে