পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* >8 শান্তিনিকেতন গভীরতা হতে এই-ষে মন্ত্রটি উঠছে, তা যেন আমার মনের এবং সংসারের অন্যান্য সমস্ত শব্দকে ভরে সকলের উপরে জেগে ওঠে : সত্যং সত্যং সত্যম। সেই সত্যে আমাকে নিয়ে যাও, সেই আমার অন্তরাত্মার গৃঢ়তম অনন্ত সত্যে যেখানে ‘তুমি আছা ছাড়া আর-কোনো কথাটি নেই। হে জ্যোতির্ময়, আমার চিদাকাশে তুমি ‘জ্যোতিষাং জ্যোতিঃ । তোমার অনন্ত আকাশের কোটি সূর্যলোকে যে জ্যোতি কুলোয় না সেই জ্যোতিতে আমার অন্তরাত্মা চৈতন্তে সমুদ্ভাসিত। সেই আমার অন্তরাকাশের মাঝখানে আমাকে দাড় করিয়ে আমাকে আদ্যোপান্ত প্রদীপ্ত পবিত্রতায় ক্ষালন করে ফেলো, আমাকে জ্যোতির্ময় করে, আমার অন্য সমস্ত পরিবেষ্টনকে সম্পূর্ণ বিস্তৃত হয়ে সেই শুভ্ৰ শুদ্ধ অপাপবিদ্ধ জ্যোতিঃশরীরকে লাভ করি । হে অমৃতস্বরূপ, আমার অন্তরাত্মার নিভৃত ধামে তুমি ‘আনন্দং পরমানন্দম্ । সেখানে কোনো কালেই তোমার মিলনের অস্ত নেই। সেখানে তুমি কেবল আছ না, তুমি মিলেছ ; সেখানে তোমার কেবল সত্য নয়, সেখানে তোমার আনন্দ । সেই তোমার অনন্ত আনন্দকে তোমার জগৎসংসারে ছড়িয়ে দিয়েছ। গতিতে প্রাণে সৌন্দর্যে সে আর কিছুতে ফুরোয় না, অনন্ত আকাশে তাকে আর কোথাও ধরে না। সেই তোমার সীমাহীন আনন্দকেই আমার অন্তরাত্মার উপরে স্তন্ধ করে রেখেছি। সেখানে তোমার স্বষ্টির কাউকে প্রবেশ করতে দাও নি ; সেখানে আলোক নেই, রূপ নেই, গতি নেই, কেবল নিস্তব্ধ নিবিড় তোমার আনন্ম রয়েছে। সেই আনন্দধামের মাঝখানে দাড়িয়ে একবার ডাক দাও প্রভু ! আমি যে চার দিকে ছড়িয়ে পড়েছি, তোমার অমৃত-জাহান আমার সংসারের সর্বত্র ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হোক, অতি দূরে চলে যাক, অতি গোপনে প্রবেশ করুক। সকল দিক