পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৬ শাস্তিনিকেতন যে জ্যোতি, যে অমৃত, ষে প্রকাশ রয়েছে, তোমার প্রসন্নতার দ্বারা যখন তাকে উপলব্ধি করব তখনই রক্ষা পাব । > 8 कांसुन нр বৈরাগ্য যাজ্ঞবল্ক্য বলেছেন— ন বা অরে পুত্রস্ত কামায় পুত্রঃ প্রিয়ো ভবতি আত্মনস্তু কামায় পুত্র প্রিয়ো ভবতি । অর্থাৎ, পুত্রকে কামনা করছ বলেই যে পুত্র তোমার প্রিয় হয় তা নয়, কিন্তু, আত্মাকেই কামনা করছ বলে পুত্র প্রিয় হয়। এর তাৎপর্য হচ্ছে এই যে, আত্মা পুত্রের মধ্যে আপনাকেই অনুভব করে ব’লেই পুত্র তার আপন হয়, এবং সেইজন্যেই পুত্রে তার আনন্দ । আত্মা যখন স্বার্থ এবং অহংকারের গণ্ডির মধ্যে বদ্ধ হয়ে নিরবচ্ছিন্ন একলা হয়ে থাকে তখন সে বড়োই মান হয়ে থাকে, তখন তার সত্য স্কৃতি পায় না। এইজন্যেই আত্মা পুত্রের মধ্যে, মিত্রের মধ্যে, নানা লোকের মধ্যে, নিজেকে উপলব্ধি করে আনন্দিত হয়ে থাকে, কারণ, তার সত্য পূর্ণতর হয়ে উঠতে থাকে। ছেলেবেলায় বর্ণপরিচয়ে যখন ক খ গ প্রত্যেক অক্ষরকে স্বতন্ত্র করে শিখছিলুম তখন তাতে আনন্দ পাই নি। কারণ, এই স্বতন্ত্র অক্ষরগুলির কোনো সত্য পাচ্ছিলুম না। তার পরে অক্ষরগুলি যোজনা করে যখন ‘কর’ ‘খল’ প্রভৃতি পদ পাওয়া গেল, তখন অক্ষর আমার কাছে তার তাৎপর্ব প্রকাশ করাতে আমার মন কিছু-কিছু মুখ অনুভব করতে লাগল। কিন্তু, এরকম বিচ্ছিন্ন পদগুলি চিত্তকে যথেষ্ট রস দিতে পারে না ; এতে ক্লেশ এবং ক্লাস্তি এসে পড়ে। তার পরে আজও আমার !